বলতে গেলে চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সব থেকে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়রিওরসের ম্যাচটা। টানা হারের পর এই ম্যাচে চট্টগ্রামকে ২ উইকেটে হারিয়ে স্বস্তিতে ফিরলো কুমিল্লা।
এই দিন প্রথমে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিন্ধান্ত নেন কুমিল্লার ক্যাপ্টেন ডেভিড মালান। আগে ব্যাটিং করে লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকির ১০৩ রানের জুটিতে শুরুটা দারুণ করে চট্টগ্রাম। কিন্তু মাঝে দ্রুত উইকেট হারালোও জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে জিয়া ২১ বলে ৩৪ রান করেন।
১৬০ রানের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে কুমিল্লার শুরুটাও ভালো ছিলো। কিন্তু সেই ভালোটা বেশি ক্ষন ধরে রাখতে পারেনি কুমিল্লার দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম ও স্টিয়ায়ান ভ্যান জিল। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন কুমিল্লার ক্যপাটেন মালান। তাঁর ব্যাটিং নৈপুন্যনে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে।
সৌম্য ,সাব্বির মাহিদুল সবাই যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান । তখন ম্যাচ অনেক টা চট্টগ্রামের দখলে চলে যায়। খেলায় তখন টান টান উত্তেজনা। জয়ের জন্য কুমিল্লার এক ওভারে ১৬ রান দরকার। উইকেটে মালান ও আবু হায়ফদার রনি।
অন্যদিকে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের তারকা পেসার লিয়াম প্ল্যাংকেট। ওভারের প্রথম বলে মালান এক রান করে স্ট্রাইকে রনিকে পাঠান। দ্বিতীয় বলে রনি একটি চার হাকান, তৃতীয় বলে বিরাট এক ছক্কা মারার পর ম্যাচ কুমিল্লার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তখন দুই বলে পাঁচ রান দরকার।
ব্যাটিংয়ে মালান ডিপ মিড উইকেটে বাউন্ডারি লাইনে বল মেরে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হন তিনি। তখন ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এক বলে চার রান। এমন সময় ব্যাটিংয়ে আসেন আফগান তারকা অফ স্পিনার মুজিবুর রহমান। প্ল্যাংকেটের হাটুর নিচে ফুলটাস বল ডিপ মিডউইকেট চার হাঁকিয়ে জয়রে ছিনিয়ে আনেন।