Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে ২০২৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ PM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবিটি প্রতীকী


সাবের হোসেন চৌধুরী দ্রুত প্রকাশের জন্য ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ঢাকাঃ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সঙ্কট থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে বাঁচাতে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে ২০২৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

 

শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক আসন্ন বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিস (COP) ২৮ তে বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত দিনব্যাপী ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার কপ২৮ প্রস্তুতি কর্মশালা’তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা বলেন তিনি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, ‘ফসিল ফুয়েল ফেজ আউট করে পৃথিবির বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাতিল করতে হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

 

এ নিয়ে আমরা যদি ঐক্যমত হতে না পারি, তাহলে আমরা আমাদের জলবায়ু অভিযোজনের উপর বিশাল প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে দেখছি ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক তাপমাত্রাতে আমাদের উপর কী প্রভাব পড়ছে (জলবায়ুজনিত)।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বছরই আমাদের অভিযোজন খরচ বাড়ছে। গত বছর আমরা ৩.৪ মিলিয়ন ডলার আমরা নিজেদের থেকে দিয়েছি। এটি প্রতি বছরই বাড়ছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু তহবিলের কথা বলি। জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো পাবে। কিন্তু এই সংখ্যাটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, এটাকে বিজ্ঞানসম্পন্ন করে নির্ধারণ করা জরুরি।’ জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে কর্মশালায় চারটি আলাদা আলাদা সেশনে কার্বন ট্যাক্স, জলবায়ু অর্থনীতি; জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন; বৈশ্বিক স্টকটেকিং; জীবাশ্ম জ্বালানী যুগ বাতিল করা, বিকল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীর সম্ভাবনা (জাস্ট এনার্জি ট্রাঞ্জিশন), চ্যালেঞ্জ ও করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়, যেখানে কপ২৮ কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে আনা হয়।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি। এসময় তিনি কপ২৮ এ বাংলাদেশের অগ্রাধিকার, পরিকল্পনা; বিশেষত গ্লোবাল স্টকটেক, জীবাশ্ম জ্বালানী ফেজ আউট, বিকল্প জ্বালানী বা জাস্ট এনার্জি ট্রানিশনের গুরুত্ব নিয়ে আলাপ করেন। পাশাপাশি COP28 এ কীভাবে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনগুলো সরকারের সহায়ক হিসেবে এই প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদীক আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।

Bootstrap Image Preview