নাজমুল হোসেনের কথা মনে আসে ? ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ১৫১ রানে অল আউট হলেও শ্রীলংকাকে ৬ রানেই ৫ উইকেটের দলে পরিণত করেন তিনি। ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে ৫ উইকেট হারানোর ঘটনার নায়ক ছিলেন নাজমুল।
হ্যাঁ, টাইগার দলের ডান-হাতি পেসার নাজমুল হোসেনের কথা বলছি।২০১৩ সালেই নিভে গিয়েছে এই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছিলেন। এবার সেটা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিলেন।
৩১ বছর বয়সে ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন । দেশের হয়ে ২টি টেস্ট, ৩৮টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টুয়েন্টি খেলা নাজমুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের মালিক।
খেলা ছেড়ে এখন কোচিংয়ে মননিবেশ করেছেন। ডিপিএলে লিজন্ড অফ রুপগঞ্জের বোলিং কোচের দায়িত্বে আছেন। তাই সামনের দিন গুলো এই কোচিং চিন্তায় থাকতে চান টাইগার দলের এই সাবেক ডান হাতি পেসার, আমি এখনো চিন্তা ভাবনা করি নাই। আমি সাকিবের সাথে আলাপ করেছি, মুশফিকের সাথে আলাপ করেছি, রিয়াদের সাথে বা মাশরাফি ভাই, রাজ ভাই, যারা আমার সার্কেল, তাদের সাথে আলাপ করেছি। ওরা সবাই বলেছে এক বছর টানাহ্যাঁচড়া করে খেলার চেয়ে কোচিং কর। ওরা বলেছে আমি পারব। আমার তো ন্যাশনাল টিমে কোনো ফিউচার নাই। আমি সুজন ভাই’র সাথে কথা বলেছি। আমি চাই না আমার মত বোলাররা হারিয়ে যাক। আজকের পর তো সিজন শেষ। ঈদের পর আমি শুভাশিষ, শহীদ, আল আমিন, তাসকিন বা ৮-১০ জন যেই বোলার থাকবে, আমি চাইব পারসনালি ওদের সাথে কাজ করতে যেন ওরা আমার মত হারিয়ে না যায়।
শেষ বেলায় জাতীয় দলে থাকাকালীন স্মরণীয় স্মৃতির কথাও স্মরণ করলেন, আমি নিজেকে ধন্য মনে করি, আকরাম ভাই, সুমন ভাই বলেন, উনাদের মত লিজেন্ডদের সাথে খেলতে পারি। আমার যেই বয়স ছিল, মাশরাফি ভাই, সাকিব, তামিম... ওদের সাথে খেলতে পেরেছি। সব মিলিয়ে ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। বাংলাদেশ ভারতের সাথে প্রথম ওয়ানডে জিতেছে, সেই ম্যাচটা আমি খেলেছি। প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, সেটা আমি খেলেছি। প্রথম শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি, সেটা আমি খেলেছি। এইগুলো চিন্তা করলে আমার মনে হয় আমি ভাগ্যবানই ছিলাম। ছোট ক্যারিয়ার, কিন্তু আমার প্রাপ্তি অনেক।