গেল রবিবার রাতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ১১৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদের ২৩২ রানের জবাবে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয় বেঙ্গালুরু। চলতি আসরে এটি ছিল কোহলিদের তৃতীয় ম্যাচ।
এদিকে প্রতিবারের মতো বেঙ্গালুরু শক্তিশালী দল গঠন করেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। চলতি আইপিএল আসরেও এখনো জয়ের মুখ দেখেনি তারা। তাই আইপিএলে তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ঘরের মাঠ হোক কিংবা অ্যাওয়ে ম্যাচ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পারফরম্যান্স প্রত্যেকবারই হতাশাজনক।
তাই ব্যর্থতা থেকে নিজের সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিয়ে বিরাট কোহলি। রবিবার ম্যাচের শেষে সংবাদ সম্মেলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্বের ইস্থফা দিলেন তিনি। হলি বলেন, 'আইপিএলের গত এগারোটা মৌসুমে দল তিনবার ফাইনালে পৌঁছেছে ঠিকই, কিন্তু ট্রফি পাইনি আমরা। নেতৃত্বে কোথাও হয়তো ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তাই চাই, অন্য কেউ দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিক। চলতি টুর্নামেন্টে পরপর হারের সব দায় স্বীকার করেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।'
তবে কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে আসর শুরুর আগেই প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দুই বার চ্যাম্পিয় করা অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীর। ধোনি-রোহিতের তুলনা টেনে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, নেতৃত্বের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক। এমনকী গম্ভীর এও বলেন, কোহলির উচিত আরসিবির কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। কারণ হাজার ব্যর্থতা সত্ত্বেও এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে।
যদিও গম্ভীর এমন সামালোচনার প্রতিউত্তরে কোহলির নাম উল্লেখ না করেই কোহলি বলেছিলেন, 'বাইরের লোকে যা ভাবে, সেভাবে ভাবলে বাড়ি বসে থাকতে হত। প্রত্যেকেই আইপিএল জিততে চায়। আমার যা করণীয় আমি তাই করছি। কে আমার কী সমালোচনা করল (আইপিএল না জেতায়) সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি সবসময়ই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রত্যেকটা ট্রফি জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামি। কিন্তু অনেক সময় মানুষ যা চায়, সেটা বাস্তবে হয় না। তবে আমরা কেন ব্যর্থ হচ্ছি, সেটা বুঝতে হবে।'
যেদিন কোহলি এতবড় সিদ্ধান্তটা নিলেন, সেদিনের তারিখটার দিকে দেখুন। আজ পহেলা এপ্রিল। সারা দুনিয়ায় এই একটাই দিন রেখে দেওয়া আছে নিছক মজা করার জন্য। তাই এত সময় আমারা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলাম সেটা নিছক মজা ছাড়া আর কিছুই না।