প্রথম ম্যাচটি হার দিয়ে শুরু করল রাজস্থান রয়্যালস। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ২১ রান। মাত্র ৬ রানের বেশি তুলতেই পারল না স্টিভ স্মিথের দল। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা তুলল ১৭০ রান। ১৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব। ক
শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন জয়দেব উনাদকাট। নিজের বলেই ক্যাচ ধরলেন অঙ্কিত রাজপুত। পরের বলেই ফের আউট কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। এবার বলে ছিলেন অঙ্কিত রাজপুত। ক্যাচটি ধরেন মহম্মদ শামি।
এর আগে পাঞ্জাবের ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ফের বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করলেন জোস বাটলার। তাঁর ৬৯ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসটি সাজানো ছিল দুটি ছক্কা এবং দশটি চার দিয়ে। মাত্র ৪৩ বলে রানটি করেন তিনি।
অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেও খেলছেন অতি ভরসাযোগ্য এক ইনিংস। বাটলারকে যোগ্য সহায়তা করছিলেন তিনি। তারপরই যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
রাহানেকে বোল্ড করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তারপরই মুহূর্তের অশ্বিনের অক্রিকেটীয় আচারনে আউট হন জস বাটলারও। অশ্বিনের বোলিংয় ডেলিভারি দেওয়ার সময় নন-স্ট্রাইকার এন্ড ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বাটলার। এ সময় অশ্বিন বল করা থামিয়ে বলটি দিয়ে বেলটি ফেলে দেন। দৃশ্যতই প্রবল অসন্তুষ্ট বাটলার মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। অশ্বিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন স্টিভ স্মিথ। নির্বাসনের কারণে গত আইপিএলে খেলতে পারেননি তিনি। এদিন ১৬ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেন স্মিথ। সঞ্জু স্যামসান ২৫ বলে ৩০ রান করে ফেরেন। স্যাম কুরানের এক ওভারেই জোড়া ধাক্কায় ব্যাকফুটে চলে যায় রাজস্থান। বেন স্টোকস ৬ রানে আউট হলেন। কুরানের পরের ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন মুজিব উর রহমান। এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি রাজস্থান।
এর আগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ২০ ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলল ১৮৪ রান। মাঠে ঝড় তুললেন ক্রিস গেইল! ৪৭ বলে ৭৯ রান করেন তিনি। সরফরাজ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানের হয়ে ২টি উইকেট নেন বেন স্টোকস।