নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের অনুশীলনের পর তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা জুমার নামাজ পড়ার জন্য সেখানকার আল নূর জাম্বা মসজিজে যাচ্ছিলেন । কিন্তু সেই মসজিদে প্রবেশের পূবেই মুহূর্তে সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
শুক্রবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন করার কথা থাকলেও ঘটনার পর ক্রিকেটাররা হোটেলে চলে গেছেন। ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল মাঠে আগামীকাল শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, শনিবারের ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে কি না এই বিষয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ওই হামলার পর অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন ও নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যোগাযোগ হয়েছে। এ ঘটনার পর তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ২টায় অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত একজন টরেন্টসহ আরো একজন এ হামলা করে মসিজিদটিতে বন্দুক নিয়ে হামলান চালায়। হামলায় ২৭ জন নিহতের দাবী করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম ওটোগো।
উল্লেখ্য, স্থানীয় এক নারীর সাবধান বার্তায় মসজিদে ঢোকা থেকে বিরত থাকেন তামিমরা। এরপর দ্রুত তারা টিম বাসে করে অনুশীলন মাঠের ড্রেসিংরুমে নিজেদের আবদ্ধ করেছেন। তবে দলের কোচিং স্টাফ এবং দুই তরুণ সদস্য লিটন কুমার দাস ও নাঈম হাসান রয়েছেন টিম হোটেলেই। তাদেরকে সেখানেই থাকতে বলে দিয়েছেন দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছেন দেশে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।