এশিয়া কাপের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ওপেনিংয়ে জুটিতে রান করতে পারছে না লিটন, কায়েস ও সৌম্যরা। সেই ধারাবাহীকতা রয়েছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজেও। তামিমের অনুপস্থিতি কেউই পূরন করতে পারছে না।
এশিয়া কাপে হাতের ইনজুরি পড়ার পর সুস্থ হয়ে ওয়েস্ট সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু অনুশীলনে নতুন করে চোটে পড়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াড় থেকেই ছিটকে পড়েন তামিম ইকবাল।
তবে বাঁহাতি এ ওপেনার আশায় ছিলেন ফিরবেন ঢাকা টেস্টে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ড্যাশিং এ ওপেনারকে পাওয়া নিয়ে এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘ফিট হওয়ার জন্য সব করেছি। সে কারণেই দুঃখটা বেশি। মাঝে সাইড স্ট্রেইনটা না হলে হয়তো বলতে পারতাম যে দ্বিতীয় টেস্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) খেলবই। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। নেটে আজ (গতকাল) স্পিন খেলেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। সোমবার থেকে পুরোদমে নেট করব। তখন আসলে বুঝতে পারব চোটের কী অবস্থা।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ওয়েষ্টি সিরিজেও টেস্টে রানের দেখা পাচ্ছেন না ইমরুল কায়েস। তাই ইমরুলের জায়গাই তামিমকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তামিম যদি ঢাকা টেস্টের আগে পুরোপুরি সুস্থ না হন তাহলেও বাদ পড়বেন কায়েস। সে ক্ষেত্রে তার জায়গায় ঢাকা টেস্টে সাদমান ইসলাম অনিকের অভিষেক হতে পারে। তবে তামিমের ফেরা নিয়ে আশাবদি নির্বাচকরা। ২৮ নভেম্বর ফিজিওদের রিপোট দেখেই তামিমের বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধাণ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
এদিকে টেস্ট সিরিজে ফিরতে না পারলেও ওয়ানডে সিরিজে ফেরা নিয়ে আশাবাদি তামিম তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতে এখনো দুই সপ্তাহের মতো সময় আগে। তত দিনে কোনো সমস্যাই থাকার কথা নয়।’