লাঞ্চ বিরতী থেকে ফিরে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ দলকে উইকেট এনে দিলেন আবু জায়েদ রাহি। দ্বিতীয় সেশনের পঞ্চম বলে হাফ সেঞ্চরি করা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে ৫২ রানে এল বি ডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৩৫ ওভারে ৯৪ রানে ৩ উইকেট
ক্রিজে আছেন: উইলিয়াশ ২২ ও রাজা ০।
রাহি ফেরালেন মাসাকাদজাকে: প্রথম সেশনে তাইজুলের সুবাদে দুই উইকেট নিয়ে লাঞ্চ বিরতীতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আস্তে আস্থে বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। অন্যদের যাওয়া আসার মিছিলে তিনি জিম্বাবুয়ের আস্তার প্রতীক হয়ে ছিলেন। কিন্তু সে আস্তার যথেষ্ট প্রতিবাদ দিতে পারলেন না মাসাকাদজা। লাঞ্চ বিরতীর পর কোন রান যোগ না করেই দলীয় ৮৫ রানেই ফিরে গেলে তিনি। তাকে ফেরানোর কারিগর রাহি। রাহির বলে আউট হওয়ার আগে ১০৫ বল থেকে ৫২ রান করেন তিনি।
তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার টেইলর: ওপেনিংসে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তুলেছিল মাসাকাদজা ও চারি। সেই পার্টনারশিপে চারিয়ে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তাইজুল। এরপর মাসাকাদজার সঙ্গে ক্রিকে নামেন টেইলর। তাদের ১৩ রানের জুটির পর টেইলরকে স্লিপে আউট করেন তাইজুল। টেইলর ১৫ বল থেকে ৬ রান করেন।
তাইজুলের আঘাত: প্রথম সেশনের ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান চারিকে ফিরিয়ে দেন। তাইজুলকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ৩১ বল থেকে ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এর আগে আবু জায়েদ রাহির বলে এলবিডব্লিই আবেদন বাংলাদেশ রিবিউ নিলেওে ব্যাটে লাগায় চারিকে নট আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি।
জিম্বাবুয়ে দল: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চরি, ক্রেগ এরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পি জে মুর, রেজিস ইয়ার (ওয়ান), ব্র্যান্ডন মাভুতা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কাইল জারভিস, তেন্ডাই চাতারা।