Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাশরাফি কি খেলবেন এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০১:৪৫ PM আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ০১:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা এখন দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। যুবাদের ট্রফি জয়ের রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে দেশবাসীকে। ছোটদের এমন দুরন্ত সাফল্যের তোড়ে আড়ালে পড়ে গেছে পাকিস্তান সফরের প্রথম টেস্টে জাতীয় দলের ভরাডুবির খবর। অবশ্য কয়েকদিনের মাঝেই আবার সিনিয়রদের নিয়ে আলোচনায় মুখর হবে দেশের ক্রিকেট।

কারণ কদিন (আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি) পরই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এই সফরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্টে গো-হারা হারের অভিজ্ঞতা দ্রুতই ভুলে যাওয়ার ফুরসত পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। হোম সিরিজের পরিকল্পনার মাধ্যমে মুখ লুকানোর সুযোগ পাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচকরা।

সূচি অনুযায়ী ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। ১, ৩, ৬ মার্চ সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরে মিরপুরে ৯ ও ১১ মার্চ দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে অংশ নিবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

আর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আলোচনা আসতেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেক প্রশ্নের অবতারনা হচ্ছে সবার মনে। মাশরাফি কি এই সিরিজ খেলবেন? ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব কি তার হাতেই থাকবে? এই হোম সিরিজেই কি অবসরের ঘোষণা দিবেন মাশরাফি?

আপাতত এসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না পূর্ণাঙ্গভাবে। তবে যুবাদের ফাইনালের আগেও মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা অস্ফূটস্বরে চলছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। হোম সিরিজের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট ও মাশরাফির সক্রিয়তাই সেটিকে সামনে এনেছিল।

বিসিএল শুরুর প্রথম দিনে (গত ৩১ জানুয়ারি) মিরপুরের মাঠে খেলছিলেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকরা। একই দিনের সকালে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছিলেন মাশরাফি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর সেদিনই প্রথমবার বিসিবিতে এসেছিলেন তিনি। মিটিং অনেক দীর্ঘায়িত হয়নি। পরে জানতে চাইলে রাসেল ডমিঙ্গো এই মিটিং নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।

তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই মিটিংয়ে কোচ মাশরাফির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা। ক্যারিয়ার নিয়ে তার ভাবনা সম্পর্কে। রাখ-ঢাক করেননি মাশরাফিও। স্পষ্টই জানিয়েছেন, তিনি খেলতে চান।

সূত্র জানায়, তার অবসর বিষয়েও জানতে চেয়েছিলেন ডমিঙ্গো। তখন মাশরাফির উত্তর ছিল, আগে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলবেন, তারপর জানাবেন।
জানা গেছে, ওয়ানডে দলে তাকে নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচক-কোচের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।  

তাতে এটুকু স্পষ্ট যে, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে থাকছেন মাশরাফি। বিসিবি নেতৃত্ব পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়নি বলে, অধিনায়কের দায়িত্বও তার কাঁধেই থাকছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটছে না!

গত বছর বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কায় তিনটি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। যেটি গত জুলাইয়ে শেষ হয়েছিল। ইনজুরির কারণে ওই সিরিজে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি। তামিমের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার কাছে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর আর ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। প্রায় ৮ মাস পর মার্চে ওয়ানডে খেলতে নামবে টাইগাররা।

চলতি বছরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর পাকিস্তান সফরে ১টি, আয়ারল্যান্ডে তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তাই চলতি বছরটা টিকে থাকলে, ইনজুরি মুক্ত থাকলে এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে অন্তত ১০টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবেন মাশরাফি।

জিম্বাবুয়ে সিরিজকে নিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেসের ভাবনাও স্পষ্ট। গত দুই সপ্তাহ ধরে মিরপুর স্টেডিয়ামে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাকে। খুব সকালে এসে জিম, রানিং করছেন। কার্যত নিভৃতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন মাশরাফি। একাকী এই প্রয়াসই বলে দেয়, তার ভেতর খেলার ইচ্ছেটা এখনও মরে যায়নি।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি ডানহাতি পেসার মাশরাফির। বোলিংয়ে খুঁজেই পাওয়া যায়নি এই অভিজ্ঞ পেসারকে। বিপিএল দিয়ে ফিরেছিলেন ক্রিকেটে। বল হাতে ১৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এলিমিনেটর হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তার দল ঢাকা প্লাটুন। যেখানে তার সঙ্গী হয়েছিল ১৪ সেলাই।

বিপিএল থেকে বিদায় নেয়ার দিনে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছিলেন, ঘটা করে মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার ইচ্ছে তার নেই। বিদায় বেলায় ফুলের তোড়াও চান না তিনি।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে মাঠ থেকে বিদায় দেবেন সবাই, ফুলের তোড়া নিয়ে আসবেন। এটা প্রয়োজনীয় না। আমার মনে হয়, আমার অতোটুকু স্বাধীনতা তো আছে যে আমি খেলতে চাই। কারও জোর করায় তো আমি আর কিছু করব না। একটা সময় হয়তো ভাবতাম যে মাঠ থেকে করব কি করব না (অবসর)। এখন মনে হচ্ছে, প্রয়োজন  নেই।’

Bootstrap Image Preview