গত বছরের জুনে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পদত্যাগ করেছিলেন কুম্বলে। গুঞ্জন ছিল সেই পদত্যাগের নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যদিও সে সময় এ নিয়ে মুখ খোলেননি অধিনায়ক, বোর্য কিংবা কুম্বলে। তবে বিসিসিআই কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) সদস্য ডায়না এডুলজি ফাঁস হওয়া মেইলে গুঞ্জন এখন সত্য ঘটনায় রূপান্তরিত হলো।
কোহলিদের কোচ বদলের বিষয়টি এক বছর পর আবারো উঠে এসছে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। তবে এবার কোহলিদের নয় এবার কোচ নিয়োগের পালা ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের। ভারতের নারী দলের হেড কোচ নিয়োগে অ্যাডহক কমিটি নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলছে এডুলজির। সেখানেই উঠে আসে কোহলিদের কোচ নিয়োগের বিষয়টি।
নারী ক্রিকেটের কোচ নিয়োগের বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ডায়না লিখেছেন, “মহিলা ক্রিকেটরদের কোচ বাছাইয়ের ব্যাপারে মতামত দিয়ে ইমেলে আমি দোষের কিছু দেখি না। ওরা তো নিজেদের মতামত সোজাসুজি জানাচ্ছে। বিরাট কোহালির মতো তো আর সিইও (রাহুল জোহরি)-র কাছে ঘনঘন এসএমএস করছে না। কোহালির এই এসএমএসের ভিত্তিতেই তো কাজ করা হয়েছিল। বদলানো হয়েছিল কোচ।”
রবি শাস্ত্রীর কোচ হওয়ার প্রতিবাদ তিনি করেছিলেন বলেও লিখেছেন ডায়না। তাঁর কথায়, “তখনও আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। আমার সেই প্রতিবাদ নথিভুক্তও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেননি রবি শাস্ত্রী। ওঁর জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। এটারও প্রতিবাদ করেছিলাম।” সেই সময় অনিল কুম্বলেকে ‘ভিলেন’ বানানোর প্রয়াস হয়েছিল বলেও লিখেছেন ডায়না। যে ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন, তার জন্য কুম্বলের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে এডুলজির।
সবশেষে ডায়না প্রশ্ন করেছেন, “তখনও নিয়ম ভাঙা হয়েছিল। আর আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। বিরাট যদি কোচ বাছাইয়ে কলকাঠি নাড়তে পারে, তবে মহিলা দলের কোচ-অধিনায়কের অনুরোধ মেনে কেন কোচ বেছে নেওয়া হবে না?” প্রসঙ্গত, হরমনপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মন্ধানা, ভারতের টি-টোয়েন্টি মহিলা দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক জাতীয় দলের কোচ হিসেবে রমেশ পওয়ারকে চেয়েছেন। কিন্তু, সিনিয়র ক্রিকেটার মিতালি রাজের সঙ্গে ঝামেলার পরিপ্রেক্ষিতে রমেশ পওয়ারের চুক্তির নবীকরণ হয়নি। নতুন করে কোচ বেছে নেওয়ার জন্য গড়া হয়েছে কমিটি।