অর্থের দিক থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দ্বিতীয়। ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নিতে তৈরি হচ্ছে পূর্বাচ্চলে তৈরি হচ্ছে নতুন স্টেডিয়াম। তবে বিসিবির নজর নেই ১৬তম এশিয়ার গেমসে নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা বর্তমানে মূমুর্ষ অবস্খান পড়ে থাকা চামেলী খাতুনের দিকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যতটা ছেলেদের মূল্যায়ন করা হয় তার তিন ভাগের একভাগ মূল্যায়ন করা হয় নারী ক্রিকেটকে। শূধূ ক্রিকেট বললে ভূল হবে। নারীদের কোনো খেলাধূলাকেই যথেষ্ট পৃষ্ট পোষকতা দেওয়া হয় না। তাই নারীদের অর্জন সব সময়ই সেভাবে মূল্যায়ান করা হয় না। তাদের সকল অর্জনই বেশির ভাগ সময়ই পর্দার আড়ালে থেকে যায়।
রাজশাহী নগরীর দরগা পাড়া এলাকায় “ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের” নাম বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে তার পৈত্রীক বাড়িটি। দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন চামেলীর পরিবারের ঠিকানা।জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই চামেলীই দাপটের সাথে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে। ২০১১ সালে অলরাউন্ডার হিসেবে জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন তিনি। তবে এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত বছরের অধিক সময়। এই লম্বা সময় তাকে আর খেলার মাঠে দেখা যায়টি।
এখন প্রশ্ন অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে এক সময় দাপিয়ে বেড়ানো মেয়েটিকে কেন এখন মাঠের বাইরে। সেটার উত্তর হচ্ছে আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর অর্থের অভাবে চামেলীল আর সুস্থ হয়ে ওঠা হয়নি। সেই সঙ্গে মেরুদন্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে মূমুর্ষ অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাঁ।
তাই চামেলী এখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই একটা স্থানে বসেই পার করতে হয়। আস্থে আস্থে চলাচলের শক্তিও হারিয়ে ফেলছেন। তার এই অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য অতি স্বত্বর দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ চিকিৎসকের।যাতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। কিন্তু প্রথম থেকে এত টাকার বন্দোবস্থ করা চামেলীর পরিবারের জন্য অসম্ভব। তাই চামেলীর চাওয়া বিসিসি এক্ষেত্রে তাদরে সাহায়্যের হাত বাড়িয়ে দিক। এবং তাকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করুক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে চায়নায় অনুষ্ঠিত ১৬তম এশিয়ান গেমস প্রতিযোগীতায় হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছিল চামেলী।এই আসরেই সিলভার মেডেল জিতেছিলেন তিনি।