Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অস্ট্রেলিয়া থাকতেই রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করেছি: সাকিব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২১ PM আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২১ PM

bdmorning Image Preview


অনেক শঙ্কা নিয়েই উন্নতি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।সেখানে দীর্ঘ ৭ দিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে আজ বেলা ১২টা নাগাদ দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। দেশে ফিরে গণমাধ্যমকে দিয়েছেন স্বস্থির সংবাদ।

সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘(আঙুল) এখন বেশ ভালো আছে। ইনফেকশনটাও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইনফেকশনের অবস্থা জেনে নিতে হবে। ইনফেকশন বাড়লো কিনা বা নতুন কোনো সমস্যা দেখা দিলো কি-না। তবে এটুকু বলতে পারি এখনও পর্যন্ত ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণেই আছে। চিন্তার কিছু নেই। আঙুলের অবস্থা এখন খুবই ভালো। কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। শুধু সময়ের ব্যাপার কতদিনে আমার আঙুলের শক্তি ফিরে আসে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আঙুলের সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। কারণ ইনফেকশন যদি হাড়ের ভেতরে থেকে থাকে সেটা আসলে সরার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওখানে রক্ত পৌঁছায় না। যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিকরা রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়, যেখানে ব্লাড যায় না সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করবে। তাই ইনফেকশনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কোনো সার্জারি করা যাবে না। তবে ভালো ব্যাপার হচ্ছে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই, তাই আমি বলেন বা ফিজিওর পরামর্শে বলেন চিন্তা করা হচ্ছে যে সার্জারি বাদে কিভাবে খেলা যায়।’

‘আঙুলটা যে শতভাগ ঠিক হবে না সেটা তো সত্যি কথা। যত যাই করুক এটা কখনোই পুরোপুরি ঠিক হবে না। এরকম অনেকেরই আছে। তবে ঠিক না হলে যে খেলতে পারবে না এমনটাও নয়। এ ব্যাপারে আমি কবে জেনেছি সেটা বলা মুশকিল। আঙুলে সার্জারির যে অপশনগুলো ছিল, সেগুলো করলেও যে পুরোপুরি ঠিক হবে না সেটা জেনেছিলাম মূলত।’

‘আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া থাকতেই শুরু করেছি। ওখানে হ্যান্ড থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। উনি যেভাবে বলেছে সেভাবে ফলো করে করে কাজ করতে হবে। যত বেশি করা যাবে তত আমার জন্য ভালো। যত বেশি করে করে হাতের শক্তিটা আবার আনা সম্ভব সেটাই এখন মূল উদ্দেশ্য।’

কবে নাগাদ ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারবেন এ নিয়ে সাকিব বলেন, 'এটা আসলে এমন একটা প্রবলেম যেটার আসলে কোনো টাইম ফ্রেম নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের স্ট্রেন্থ কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার ওয়েট করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারব। এটা আসলে খুব আনসার্টেইন। আবার একটা জিনিস ভালো যে ইনফেকসন হবার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে সেটা হবে সবথেকে বেস্ট অপশন। বাট এটা আসলে কনফার্ম বলাটা মুশকিল। বললাম যেটা, হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারব। তারপরও যেহেতু স্ট্রেন্থ আসার ব্যাপার আছে। একমাস হয়তো হবে না। একটু সময় বেশিই লাগবে।'

ইনজুরি নিয়ে সাকিবের ভাষ্য মতে, এটা আসলে স্পোর্টসের পার্ট। একজন দুইজন খেলোয়াড় সব সময় ফিট থাকবে না। সব সময় খেলতেও পারবে না। সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে। সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। আমি তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারি তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণ দেখি না।

Bootstrap Image Preview