সিলেটে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে, মাঠে নামবে খুলনা টাইগার্স এবং ঢাকা প্লাটুন। শেষ ম্যাচে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরাও ফর্মে ফেরায় দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী প্লাটুনরা। অন্যদিকে, মুশফিক-রুশোর ব্যাটে ভর করে উড়ছে খুলনা। অপেক্ষা এখন নতুন বিদেশি রিক্রুটদের জ্বলে উঠার। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
পয়েন্ট টেবিলে তাকালে দেখা যাবে, দু’দলের পয়েন্ট সমান ১০। তবে, সেখানে একটা কিন্তু আছে। ঢাকার প্লাটুনরা যেখানে খেলেছে ৮টি ম্যাচ, সেখানে খুলনা টাইগার্স ৭ ম্যাচ। অর্থাৎ, ঢাকার ৩ হারের বিপরীতে খুলনা হেরেছে মাত্র ২ বার।
টেবিলের হিসেবে ঢাকার অবস্থান নিচে হলেও, কাগজে-কলমে শক্তির মাত্রা ভালোই বেশ-কম আছে। তামিম-বিজয়ের ওপেনিং জুটি পারফর্ম করছে স্বভাবসুলভ ভাবেই। মাঝে মাঝে বিজয় কেতন না উড়লে, হাল ধরছেন তরুণ মেহেদী হাসান। আর, পাকিস্তানি আসিফ আলী, আহমেদ শেহজাদরা জ্বলে উঠলে সালাহউদ্দিনের ভাবনায় থাকে না কোন কিছুই।
অন্যদিকে, বোলিংয়ে এখনো তালমিলটা খুঁজে পাননি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। আশার বাতির ঘর তাই, হাসান মাহমুদ আর ওয়াহাব রিয়াজের গতির ঝড়।
ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ বলেন, আমি অনেক রোমাঞ্চিত বিপিএলে ফিরতে পেরে। মাশরাফি-তামিমদের সঙ্গে খেলাটা আমার জন্যে সৌভাগ্যের। কোচ সালাউদ্দিনের সঙ্গেও আমি আগে খেলেছি। উনি খুব ভালো মেন্টর। আমরা ম্যাচ জিতে সেমিতে খেলতে চাই।
মুশফিকের অধিনায়কত্বে খুলনার দুর্বলতা যদি কিছু থেকে থাকে, তা ছিলো ওপেনিং জুটিতে। বার বার বদলালেও, কোনোভাবেই জমছিলোনা টাইগার্সদের শুরুটা। সে ধাক্কা সামলাতেই কি না, এবার দক্ষিণ আফ্রিকান হাশিম আমলার দ্বারস্থ হয়েছে দলটি। এবার রাইলি রুশোর সঙ্গে জুটিটা জমে গেলেই পোয়াবারো খুলনার জন্য।
অন্যদিকে, বোলিং নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই জেমস ফস্টারের। ফ্রাইলিঙ্ক না পারলে তার জায়গায় অবলিলায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন শফিউল, কিংবা শহিদুল।
খুলনা টাইগার্স ব্যাটসম্যান হাসিম আমলা বলেন, আমি এ খেলাটাকে ভালোবাসি সে জন্যই এখানে খেলতে এসেছি। পুরো সময়টা উপভোগ করতে চাই এবং খুলনার জন্য কিছু করতে চাই। এখানে অনেক বড় বড় ক্রিকেটাররা খেলছেন, আশা করছি ভালো পারফর্ম করতে পারবো।
এ ম্যাচের জয়ী দলের জন্য অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্লে অফ।