সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কথা শুনলেই, মনে পড়ে গ্রীন গ্যালারির কথা। প্রকৃতির মাঝে মনমুগ্ধকর স্টেডিয়াম দেখলে যে কারো মন হারিয়ে যাবে।এখানে ক্রিকেট আর প্রকৃতি যেন মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।
সেই সিলেট স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য্য আরও ছড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) উঠে পড়ে লেগেছে। মূল স্টেডিয়ামের সাথে তৈরি করছে আরও একটি স্টেডিয়াম। চোখ বুঝে এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যায়। বাংলাদেশে এই প্রথম এক সাথে দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
ইতোমধ্যে এই স্টেডিয়ামের কাজ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। চলতি বছরেই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নতুন এই স্টেডিয়ামের যে চমক থাকবে তা হলো, চারপাশে গ্রীন গ্যালারি তৈরি করা হবে।ইট বাঁ পাথরের কোন গ্যালারি থাকবে না।প্রাকৃতিক ভাবে যত সুন্দর করা যায় তাই করা হবে এই স্টেডিয়ামে।
গ্রীন গ্যালারির চার পাশে ইতোমধ্যে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হয়েছে।এছাড়াও হরেক রকমের গাছের সমাহার থাকবে গ্যালারির চার পাশে।
নতুন এই মাঠ নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বিসিবির বোর্ড পরিচালক চৌধুরি নাদেল, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও তাঁর পাশেই যে একটা আউট স্টেডিয়াম আমরা তৈরি করছি। তো আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে এই স্টেডিয়ামকে আমরা একটা ক্রিকেট গ্রাউন্ড ধরে সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ড ওয়ান , সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ড টু নাম করন করা হবে। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে এই ভাবেই একটা প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের আউট ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেটা হচ্ছে তাঁর পাশেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যে সিন্ধান্ত নিয়েছে, এখানে এটা পুরনাঙ্গ একাডেমি হবে। এবং বিপিএলের পরেই আমরা আর্কিটেকচারের সাথে কথা বলবো যে আমাদের কি কি লাগবে? বিসিবি নিজের খরচে এই কাজটা করবে।আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা একটি ডকুমেন্টরি করবো যেটা কি না, আমাদের এজ লেভের যে খেলোয়াড়রা আসবে তাদের থাকার ব্যবস্তা করা হবে। ইতোমধ্যে ৩০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং আমাদের জেলা বাঁ বিভাগে যে ক্যাম্প গুলো হবে সেই গুলো এই খানে হবে ।