'যে খেলাটাকে আমি ভালোবাসি, সেটিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় দুঃখিত।অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করায় আকসু থেকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।'
এই কথা গুলো খুব পরিচিত লাগছে, লাগবেই বা না কেন? সব ধরণের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার দিন গণমাধ্যমমের সামনে কথা গুলো বলেছিলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ সাকিব আল হাসান।
ওই দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেন এক কালো আঁধার নেমে এলো। সকাল থেকে যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে জোয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় সাকিব নিষিদ্ধ হচ্ছেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডে এক গম্ভীর ভাব বিরাজ করতে থাকে।
এমন সংবাদে বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কোন ভাষা ছিলো না,এই সংবাদের ব্যখ্যা করার। কিন্তু কি আর করার। হয়তো সাকিবের কপালে এমনটাই লেখা ছিলো। ভাগ্যের উপরে তো আর কারো হাত নেই।
সারা দিন শেষে ওই দিন সন্ধ্যার একটু আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান,সাকিব বিসিবিতে আসছেন সকলের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলবেন।
সন্ধ্যার সময় তখন বিসিবির মেইন গেটের সামনে সাকিব ভক্তদের মানববন্ধন শুরু হয়ে গিয়েছে। চারপাশে এতো কুলাহল তাঁর পরেও সব কিছু নিথর মনে হচ্ছিল। কখন সাকিব আসবেন? এসে কি বলবেন?
মেইন গেটে ভক্তদের মানববন্ধন যখন তীব্র রূপ ধারণ করেছে । তখন সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিসিবির তিন নম্বর গেইট দিয়ে আসলেন সাকিব।
দেরি না করে বিসিবি সভাপতি সাকিবকে গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসলেন। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলার আগে সাকিবের চোখ দুটো ছল ছল করছিলো। হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁর মুখের মায়াবী হাসি বুঝিয়ে দিয়েছিলো এই কষ্টের ভাগ কাউকে দিতে চান না। তাই তো আড়ালে চোখের পানি মুছে একটু হেসে ছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই হাসির মাঝে লুকিয়ে ছিলো পাহাড় সমান কষ্টের ছায়া। সেটি তাঁর ভক্তদের বুঝতে এক্টুও দেরি হয়নি।
দেখতে দেখতে সাকিবের শাস্তি দুই মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনো ১০ মাস ক্রিকেটের বাহিরে থাকবেন টাইগার ক্রিকেটের এই প্রাণ। সেই অপেক্ষায় সাকিবভক্তরা।