প্রথম বলটা কোমরের অনেক ওপরে করেও বেঁচে গেলেন মাত্র ১ রান হওয়ায়। এমনকি পরের ফ্রি হিট বলেও বেঁচে যান রস্টন চেজ, সে বলে হয় মাত্র ১ রান। তবে পরের পাঁচ বলে আর রেহাই পাননি তিনি। হজম করেছেন টানা ৫টি বাউন্ডারি। আর তাতেই হয়েছে ভারতের দারুণ এক রেকর্ড।
ক্যারিবীয় অফস্পিনার রস্টন চেজের করা ৪৭তম ওভারের শেষ ৫ বলে শ্রেয়াস আইয়ারের স্কোরিং শটগুলো ছিলো যথাক্রমে ৬, ৬, ৪, ৬ ও ৬। এর সঙ্গে নো বলসহ প্রথম ২ বল থেকে আসে আরও ৩ রান। যেখানে ফ্রি হিটের সিঙ্গেলটি নেন রিশাভ পান্ত। সবমিলিয়ে সেই ওভার থেকে ভারত তুলে নেয় ৩১টি রান।
যা কি না ওয়ানডে ইতিহাসে এক ওভারে ভারতের নেয়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশাভ পান্ত মিলে এই কীর্তি গড়ার পথে ভেঙেছেন শচিন টেন্ডুলকার ও অজয় জাদেজার ২০ বছর আগে করা এক ওভারে ২৮ রানের রেকর্ড।
১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ক্রিস ড্রামের এক ওভার থেকে ২৮ রান নিয়েছিলেন শচিন টেন্ডুলকার ও অজয় জাদেজা। সে ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ছিলো ২ উইকেটে ৩৭৬ রান। প্রায় ২০ বছর ধরে এটিই ছিলো ভারতের পক্ষে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান নেয়ার রেকর্ড।
আজ (বুধবার) বিশাখাপত্তমে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারদের পিটিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৮৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথে শচিন-অজয়ের রেকর্ডটা ভাঙলেন পান্ত ও আইয়ার। তাদের সংগ্রহ ৩১ রান।
তবে ভারতীয় বোলারদের এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেয়ার রেকর্ডটি হলো ৩০। মোহালিতে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে জেমস ফকনারের বিপক্ষে এক ওভারে ৩০ রান খরচ করেছিলেন ইশান্ত শর্মা।
এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান নেয়ার রেকর্ডটি মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। ২০০৪ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে তারা দুজন মিলে ২৬ রান নিয়েছিলেন দীনেশ মঙ্গিয়ার ওভারে। যেখানে মাশরাফির অবদানই ছিলো টানা ৪ ছক্কায় ২৫ রান।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলারদের এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ড বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক মনির দখলে। ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদির কাছে ২৮ রান হজম করেছিলেন তিনি।