জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে গোপন রাখেন সাকিব আল হাসান। সেই কারণে তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।
এই এক বছর নিষিদ্ধ থাকার ফলে ফলে বিপুল আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে মাসে ৪ লাখ টাকা করে বেতন পেতেন সাকিব। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চুক্তি বাতিল হয়ে যায় তার।
এরপরই সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান উবার। এখন কেবল কাগজপত্রের কাজগুলো সারার পালা। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ইউনিলিভার ও একটি পাঁচতারা হোটেলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তার। তাদেরও সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রকট।
সর্বোপরি, গ্রামীণফোনের সঙ্গে সদ্য করা সাকিবের বড় অঙ্কের চুক্তিটাও ভেস্তে যাচ্ছে। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সময় এ চুক্তি করেন তিনি। ফলে বিসিবির রোষানলে পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বোর্ডের নিয়ম ভেঙে চুক্তি করেন বলে কথা শুনতে হয় তাকে।
সাকিব শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আছেন আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের সঙ্গে। নিষিদ্ধ ক্রিকেটারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রাখবে কি না, ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। কানাঘুষা চলছে, শিগগির তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন মিটিয়ে ফেলছে তারা। সব মিলিয়ে এ একটা বছর আর্থিক লোকসানেই কাটবে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।