আর এক দিন পরই বিশ্বকাপের লড়াইয়ে মাঠে নামছে দশটি দেশ। এই যার ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া শিরোপার দেখা পেলেও বাকিরা এখনো সেই স্বাদ পূরণ করতে পারেনি।
এবারের বিশ্বকাপ আসরে ফেবারিটের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পূর্বে শিরোপা জেতা দল গুলো। তবে ফেবারিটের তালিকায় না থাকলেও বাকি দল গুলোও ছেড়ে কথা বলবে না। উপরের চারটি দলকে হারানোর মতো সামর্থ রয়েছে বাকি গুলোর।
বিশ্বকাপে ১০ দলের শিরোপা জয়ের স্বাদ মোটাতে মাঠের বাইরে থেকে প্রতিটি দলে নেতৃত্বে রয়েছেন একজন হেড কোচ। এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৫ দেশ আস্থা রাখছে বিদেশি কোচের ওপর। বাকিদের হেড কোচ স্বদেশি। স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ ৫ দল আস্থা রাখছে বিদেশি কোচের ওপর। সর্বোচ্চ তিন দলে আছেন ক্যারিবিয়ান হেড কোচ, দুটিতে অস্ট্রেলিয়ান। ইংলিশ স্টিভ রোডসে আস্থা বাংলাদেশের।
স্টিভ রোডস
ইংল্যান্ড জার্সিতে ১১ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে খেলা স্টিভ রোডস বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন গত বছরের জুনে। ২০০৫ সালে উস্টারশায়ার দিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন রোডস। যার হাত ধরে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে অসম্ভবকে সম্ভব করার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
রবি শাস্ত্রী
বয়সে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে সিনিয়র কোচ রবি শাস্ত্রী। সাবেক ভারত অধিনায়ক ২০১৭ সালের জুলাইয়ে হেড কোচের দায়িত্ব নেন। ২০১৪ সাল থেকে বছর খানেক ছিলেন টিম ডিরেক্টর। অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে তার রসায়নটা জমেছে বেশ।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে
গত বিশ্বকাপে ছিলেন বাংলাদেশের কোচ। নানা ঘটনা আর নাটকীয়তার পর এবার নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব তার কাঁধে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হাথুরুসিংহে এবার ধুঁকতে থাকা লঙ্কানদের কোথায় নিয়ে যাবেন?
মিকি আর্থার
পাকিস্তানের সবশেষ সাফল্য ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেই দলের কোচ মিকি আর্থার। দায়িত্বে আছেন ২০১৬ থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ’ দলের হয়ে খেলা আর্থার নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও কোচিং করিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে।
ফিল সিমন্স
২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোচ ফিল সিমন্সের এবারের তাঁবু আফগানিস্তান।শুরুতে ব্যাটিং কোচ থেকে ২০১৭ সালে পেয়েছেন হেড কোচের দায়িত্ব।
ওটিস গিবসন
এক সময়ের ক্যারিবিয়ান বিধ্বংসী পেসার ওটিস গিবসন কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হয়ে। ২০১০ সাল থেকে বছর চারেক ছিলেন নিজ দেশের কোচ। মাঝে ইংল্যান্ডে আবারও ফিরেছিলেন পুরনো দায়িত্বে। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেন দক্ষিণ আফ্রিকার।
ফ্লয়েড রেইফার
ফ্লয়েড রেইফার বিশ্বকাপের সবচেয়ে কম বয়সী কোচ। দলের দায়িত্ব নেয়ার হিসাবেও সবচেয়ে নবীন। ২০০৯ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো রেইফার চলতি বছর এপ্রিলে হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ।
ট্রেভর বেলিস
বিশ্বকাপের ফেভরিট আর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ট্রেভর বেলিস। ২০১১ আসরে তার কোচিংয়ে শ্রীলঙ্কা হয়েছিলো রানার্সআপ।সিডনি সিক্সার্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়ে অস্ট্রেলিয়ান বেলিস ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেন ২০১৫ সালে।
জাস্টিন ল্যাঙ্গার
টেস্ট স্পেশালিস্ট জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচ। ড্যারেন লিম্যান পদত্যাগ করলে দলের বিপদে হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছর।
গ্যারি স্টিড
১৯৯৯ সালের মার্চে টেস্ট অভিষেকের পর ওই বছরের ডিসেম্বর অবসর নিয়েছিলেন গ্যারি স্টিড। পরবর্তীতে মনোযোগী হন কোচিংয়ে। দায়িত্ব নেন নিউজিল্যান্ড নারী দলের। গত বছরের আগস্টে দায়িত্ব পান জাতীয় দলের।