নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালের দু’টি মসজিদে গতকাল স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় সন্ত্রাসী হামলা করেন অস্ট্রেলিয়ার বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তার ঐ হামলায় ৪৯ জন নিহত ও ২০জন আহত হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় ট্যারেন্টের বিপক্ষে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া এই ভয়ংকর খুনির বিপক্ষে আরও অভিযোগও আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আদালতের বিচারক।
নৃশংসভাবে এই মানুষ হত্যাকারীর শাস্তি একটাই সেটি হলো মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু সেটি কি হবে? রীতিমত ট্যারেন্টের শাস্তি নিয়ে চারিদিকে বেশ আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের কোন বিধান নেই। তাদের বিধানে একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
১৯৮৯ সালে নিউজিল্যান্ড থেক মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে নেওয়া হয়। এযাবৎ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সবশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যাকে তার নাম ওয়াল্টার বোল্টন। স্ত্রীকে বিষপানে হত্যার দায়ে ১৯৫৭ সালে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়। এরপর অপরাধী যত বড় হত্যাকাণ্ড করুক না কেন তার শাস্তি সাধারণত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাই ট্যারেন্টের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।’
উল্লেখ্য, নিউজ্যিান্ডের ডানেডিনে বসবাস করতেন ট্যারেন্ট। হামলার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামের ৭৪ পাতার একটি কথিত ইশতেহার প্রকাশ করেন এই খুনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শ্বেতাঙ্গরা গণহত্যার শিকার তাই যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে হবে চাই। এছাড়া মুসলিমদের জন্য ভীতিকর পরিবেশও তৈরি করা হবে।