শুরুকে ভালো সূচনার পরও বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২৩৪ রানে। যেখানে তামিম ইকবালের ১২৬ রান ছাড়া বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন মাত্র ১০৮ রান। যা বাংলাদেশকে টেস্টের প্রথম দিনেই চাপে ফেলে দিয়েছে। ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যর্থতায় হতাশ তামিম ইকবাল।
শুরুতে ব্যাটিং উদ্ধোধনী জুটিতে সাদমান ইসলাম অনিক ও তামিম ইকবালের ব্যাটে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। সাদমান ২৪ রানে ফিরে গেলেও ক্রিজে আসা অন্য ব্যাটসম্যান মোমিনুলকে নিয়ে নতুন করে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
শুরুতে দ্রুত ২/৩ টি উইকেট হারানোর জায়গা থেকে বের হয়ে আসা সত্বেও মিডল অর্ডারও লোয়ার ডিমল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। সকলেই উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। কেউই উইকেটে টিকে থেকে লড়াই করার মনোভাব দেখাতে পারেননি।
দিনশেষে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘সত্যি করে বলতে এমন একটি শুরু ছিল আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। বিশেষ করে এমন সবুজ উইকেটে আমরা সাধারণত শুরুর দিকে দুই-তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। সবাই জানে এরপর কি হয়। তবে এমন একটি দুর্দান্ত শুরুর পর সেটা ধরে রাখতে না পারা হতাশার। আমি সেঞ্চুরি করেছি বলেই নয়, ড্রেসিংরুমের সবাই খুব হতাশ।’
এদিকে উইকেটের চরিত্র কেমন ছিল? এটা কি ব্যাটসম্যানদের ব্যাট করার জন্য খুবই কঠিন ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা বেশ ভালো উইকেট ছিল। এটা সবুজ কিন্তু খুব বেশি ঝামেলা করেনি। আমাদের অবশ্যই আরও রান করা উচিত ছিল। দিনশেষে আসলে দোষটা আমাদেরই। আমি মনে করি যদি সারাদিন আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম, তবে ৩৫০ বা ৪০০ করা যেতো। তেমন হলে সেটা লড়াকু পুঁজিই হতো।’
উইকেট হারানোর পেছনে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের চেয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুষেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘‘উইকেটে আহামরি ওই রকম কিছু হচ্ছিল না। ওরা ভালো বল করছিল প্যাসেজে। কিন্তু আমাদের আউট গুলো যদি দেখেন, খুব ভালো বলে কিন্তু আমরা আউট হইনি। ওদের যে পরিকল্পনা ছিল আমরা সেই পরিকল্পনা সফল করে দিয়েছি। নিজেরা ভুল শটে আউট হয়েছি।’’