সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের লিড দাড়ালো ২৩০ রান। তাদের হাতে রয়েছে ৮টি উইকেট। একই সাথে ম্যাচটিও বাংলাদেশের হাতে থেকে আস্তে আস্থে ফসকে যাচ্ছে। কারণ দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ২১৬ রান চেজ করে জয় পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংস ২৮২
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস ১৪৩
জিম্বাবুয়ে: ২য় ইনিংস ৯১-২ লিড- ২৩০
ক্রিজে আছেন: মাসাকাদজা (৩৯) ও উইলিয়াম (১৬)
বড় রানে লিড নিয়ে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে: টেইলরের বিদায়ের পর লাঞ্চের আগে বাকিটা পথ কোনো অঘটন ছাড়াই পার করল জিম্বাবুয়ে। এ সময় মাসাকাদজা ও শেন উইলিয়াম ৪৪ রানের অপরাজীত জুটি গড়ে তুলেছে। লাঞ্চর শেষ করে ৮৬ বল থেকে ৩৯ রান নিয়ে মাসাকাদজা এবং ৪৮ বল থেকে ১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামবেন।
তাইজুলের শিকার টেইলর: চারির বিদায়ের পর ক্রিজে নামা টেইলর দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। যা বাংলাদেশকে আস্তে আস্থে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ৪৭ রানের মাথায় ৪ টি বাউন্ডারিতে ২৫ বলে ২৪ রান করা টেইলরকে ফেরত পাঠালেন তাইজুল। বড় শর্ট খেলতে গিয়ে কায়েসের হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি।
প্রথমেই মিরাজের আঘাত: আজ জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। এ সময় ক্রিজে থাকা ওপেনার ব্রায়েন চারিকে বোল্ড করে প্যাভিলনে বিদায় করেন তিনি। ৩৩ বল থেকে ৪ রানের ইনিংস খেলেন চারি। প্রথম ইনিংসেও ১টি উইকেট পেয়েছিলেন মিরাজ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় দিনের শেষ দুই সেশন শেষ না হতেই ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অভিষিক্ত আরিফুল হক খেলেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে চাতারা ও সিকান্দার রাজা ৩ টি করে উইকেট নেয়। এছাড়া জার্ভিস ২ টি ও উইলিয়াম ১টি উইকেট নেন।
জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অল আউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়াম। এছাড়া পিটার মুর ৬৩ ও মাসাকাদজা করে ৫৩ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ টি উইকেট নেন তাইজুল। এছাড়া অপু ২টি এবং মিরাজ , মাহমুদুল্লাহ ও রাহি ১টি করে উইকেট নেন।