Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ‘এক ডজন’ জয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৫ PM আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৫ PM

bdmorning Image Preview


প্রায় দুই বছর পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চারিদিকে আনন্দ আর উল্লাসে যেন মুখোরিত ছিলো। গ্যালারি ভরা এই দর্শকদের উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিলো  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় তুলে।

এই জয়ের সাথে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১২ ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। জয়ের এই ১২ সংখ্যা  অন্য ভাবে যদি বলি ৩ হালি বা ১ ডজন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল টাইগাররা। এই জয়ের সাথে সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ।প্রথমে টসে হেরে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৪৬ রান করে। ২৪৭ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

ইমরুল ও লিটনের জুটিঃ  ঢাকায় প্রথম ম্যাচে বড় কোন রানের জুটি না করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে এসে ব্যাটিং জ্বলে উঠেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটি ১০০ রান পেরিয়ে যায়।

লিটনের বিদায়ঃ খেলার ২৪ ওভারের মাথায় লিটনের ঝড় ব্যাটিং থামিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। ক্যাচ আউটের ফাঁদে পড়ে ৮৩ রান করে বিদায় নেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান।

দ্বিতীয় ম্যাচেও রাব্বির ডাকঃ অভিষেকের প্রথম ম্যাচে শূন্য করার পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচের ডাক মারলেন এই বা-হাতি অলরাউন্ডার। এর আগে প্রথম শ্রেনী ও এ দলের হয়ে অভিষেকে ডাক মেরেছেন রাব্বি।

মুশফিকের সাথে ইমরুলের জুটিঃ ২৫ ওভার ৫ বলে রাব্বি শূন্য রানে বিদায় নিলে তখন ব্যাটিংয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটে থাকা ইমরুলের সাথে নতুন করে জুটি গড়েন মুশি। তাদের এই জুটিতে জয়ে খুব কাছে পৌছিয়ে যায় বাংলাদেশ।

৯০ রান করে ইমরুল আউটঃ মিরপুরে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১০ রানের জন্য  সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন ইমরুল। খেলার ৩৭ ওভার ৩ বলে ৯০ রান নিয়ে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে সিকান্দার রাজার বলে চিকাম্বুরার বলে ক্যাচ আউট হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যন। ব্যাট হাতে মুশফিকের সাথে ৫৯ রানের জুটি গড়েন ইমরুল।

ম্যাচ জয়ঃ ইমরুল বিদায়ের পর মিথুনকে সাথে নিয়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ব্যাট হাতে মুশফিক ৪০ রান ও মিথুন ২৪ রান করেন।

এরর আগে,

সাইফউদ্দিনের প্রথম উইকেটঃ খেলার ৪ ওভার ৫ বলের মাথায় মাসাকাজাকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাইফউদ্দিন। এটি ছিলো সাইফউদ্দিনের প্রথম ওভার ও জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেটের পতন।

মিরাজের বলে জোয়াও ক্যাচ আউটঃ সাইফউদ্দিনের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে ১২ ওভারে আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। মিড অফে এগিয়ে গিয়ে শর্ট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন জোয়াও। সেই ক্যাচ খুব সহজেই ধরেন ফজলে রাব্বি।এই সময় জিম্বাবুয়ের ৭০ রান ছিলো।

মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডব্লিউ আউটঃ দুই উইকেট হারানোর পর উইলিয়ামসের সাথে ধারুণ জুড়ি গড়েন টেইলর। খেলায় ২৯ ওভার ৩ বলে সেই জুটি ভেঙ্গে দেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে টেইলর করেন ৭৫ রান।

সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার উইলিয়ামসঃ খেলার ৩৮ ওভারে আবারো জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকা উইলিয়ামসকে ক্যাচ আউট করেন। ব্যাট আহে উইলিয়ামস করেন ৪৭ রান।

রাজাকে ফেরালেন মাশরাফিঃ দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকা রাজাকে ৪৬ ওভার ৩ বলে আউট করেন মাশরাফি। হাফ সেঞ্চুরি করার জন্য রাজার আর ১ রান দরকার ছিলো। কিন্তু মাশরাফির বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান।

মুসাফিজের শিকার মুরঃ খেলার শেষ পর্যায়ে উইকেটের দেখা পান কাটার মাস্টার। নিজের ৯ ওভার বোলিং করার সময় মুরকে ক্যাচ আউট করে উইকেটের খাতা খোলেন ফিজ।

সাইফউদ্দিনের তৃতীয় উইকেটঃ প্রথম দুই উইকেট নেওয়ার পর ৪৮ ওভার ২ বলে আবারো উইকেট নেন এই ডান হাতি পেসার। চিকেম্বুরাকে ক্যাচ আউট করে নিজের উইকেটের ঝুড়ি ভারী করেন তিনি।

মাশরাফি একাদশঃ লিটন দাশ, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বি, মুশফিকুর রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,মেহেদী হাসান মিরাজ,নাজমুল হাসান অপু,মুস্তাফিজুর রহমান , মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মাশরাফি(অধিনায়ক)।

 

 

Bootstrap Image Preview