স্বাধীনতা দিবসে রোমে কূটনৈতিক কোরের সম্মানে সংবর্ধনা

ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দেশটির রাজধানী রোমে কূটনৈতিক কোরের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ এক সংবর্ধনা। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সন্ধ্যায় রোমের কেন্দ্রস্থলে পাঁচ তারকা হোটেল পারকো দিই প্রিন্সিপির অডিটরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আন্দ্রে চাউফি। দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘের তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার (এফএও, ডব্লিউএফপি ও ইফাদ) কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রাজনৈতিক–সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পর্যটনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার আগত অতিথিদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, তাৎপর্য এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান ও অর্জন তুলে ধরেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার উপমন্ত্রী আন্দ্রে চাউফিকে আগত অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গেস্ট অব অনার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া তিনি দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক ও এর উত্তরোত্তর উন্নয়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেনসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেনইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দেশটির রাজধানী রোমে কূটনৈতিক কোরের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ এক সংবর্ধনা। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সন্ধ্যায় রোমের কেন্দ্রস্থলে পাঁচ তারকা হোটেল পারকো দিই প্রিন্সিপির অডিটরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আন্দ্রে চাউফি। দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘের তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার (এফএও, ডব্লিউএফপি ও ইফাদ) কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রাজনৈতিক–সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Eprothom Alo
স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুস সোবহান সিকদারস্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুস সোবহান সিকদারঅনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পর্যটনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার আগত অতিথিদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, তাৎপর্য এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান ও অর্জন তুলে ধরেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যকার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার উপমন্ত্রী আন্দ্রে চাউফিকে আগত অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গেস্ট অব অনার তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া তিনি দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক ও এর উত্তরোত্তর উন্নয়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছেন রাষ্ট্রদূতঅতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছেন রাষ্ট্রদূতআলোচনার পর রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শেষ পর্বে প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীতশিল্পীদের সুরের মূর্ছনা আমন্ত্রিত অতিথিদের মুগ্ধ করে। পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার পরিবেশন সার্বিক অনুষ্ঠানকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাতার, হাঙ্গেরি, কসোভো, সেনেগাল, ভেনেজুয়েলা, কিউবাসহ প্রায় ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত, ৬৫টি দেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘের তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৪০ জন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, খ্যাতনামা লা স্যাপিয়েঞ্জা, লুইস, জন ক্যাবত ও ইউনিক্যামুলাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিখ্যাত পেট্রোলিয়াম কোম্পানি এনির ভাইস প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন।