Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ বুধবার, ডিসেম্বার ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশের ৭০ এজেন্সির হাতে জিম্মি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৫ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৫ PM

bdmorning Image Preview


দেশের ৭০ এজেন্সির হাতে জিম্মি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এর মধ্যে বায়রার নেতা, সংসদ সদস্য এমনকি প্রভাবশালী মন্ত্রীর স্ত্রীও রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাত্র চার মাসে তারা মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৬৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিমান টিকিটসহ সরকার নির্ধারিত ফি ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু নেয়া হচ্ছে ৪ লাখ টাকা।

বায়রা বলছে, ৮০ হাজার টাকা ফি বাস্তবসম্মত নয়। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সিন্ডিকেটকে থামাতে না পারলে আবারও বন্ধ হতে পারে কুয়ালালামপুরের দরজা।

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি শ্রমবাজার। তবে দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। সরকারিভাবে দীর্ঘদিনের আলোচনার পর গত বছরের ডিসেম্বরে আবারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে সম্মত হয় দেশটি। এরপর চুক্তি মোতাবেক গেল জুন থেকে শুরু হয় জনশক্তি রফতানি।

কিন্তু আবারও উঠেছে সেই পুরোনো অভিযোগ। দেশে ১ হাজার ৫২০টি জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থাকলেও এবার মালয়েশিয়ার বাজার জিম্মি মাত্র ৭০টি প্রতিষ্ঠানের হাতে। সরকার নির্ধারিত ৮০ হাজার টাকা হলেও জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৪ লাখ টাকা করে।

বিএমইটির তথ্য বলছে, গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন ৫ হাজার ২৮২ জন। এ হিসাবে সিন্ডিকেটটি জনশক্তি রফতানির নামে হাতিয়ে নিয়েছে ১৬৯ কোটি টাকা।

রিক্রুটিং এজেন্সির ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, ‘সরকার বলছে ৭৮ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ান মন্ত্রী বলেছেন শূন্য খরচ। সেখানে আমাদের শ্রমিকদের তিন থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়া লাগছে।’

বায়রা বলছে, এবার মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা চুক্তিতে রয়েছে ঝামেলা। একজন শ্রমিক পাঠাতে ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণকেও অযৌক্তিক বলছে সংগঠনটি।

বায়রার সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘এখানে বিমানভাড়া, মেডিকেল খরচসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। সেখানে কোন যুক্তিতে ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের বোধগোম্য নয়।’

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে আবারও মালয়েশিয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

অভিভাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, এই মার্কেটটা স্ট্যাবল হবে না। এখানে এমন প্লেয়ার যুক্ত হয়েছে তারা খুবই প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

অভিযোগ রয়েছে, চাহিদাপত্র আনার পর কর্মী পাঠাতে শ্রমিকপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা করে দিতে হয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নিয়ন্ত্রকদের।

Bootstrap Image Preview