Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাতারে ৪৩ কোটি ডলারের গোলাপ জাদুঘর

হাসান বখস, কাতার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৪ PM
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০১:০০ PM

bdmorning Image Preview


কাতারে ৪৩ কোটি ডলার ব্যয় করে এক দশক ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর অবশেষে শেষ হয়েছে গোলাপ জাদুঘরের নির্মাণ কাজ। জাদুঘরটি এ সপ্তাহেই দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বিশাল আকৃতির এই জাদুঘরটিকে বলা হচ্ছে ‘মরুভূমির গোলাপ’।

বুধবার (২৭ মার্চ) জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতারের শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, কুয়েতের আমির শেখ শাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্ড ফিলিপের উপস্থিত ছিলেন। তারপর দিন থেকেই এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

৫২ হাজার বর্গমিটার কাঠামো নিয়ে জাতীয় জাদুঘরটি দোহায় অবস্থিত। বিদেশী পর্যটকরা কাতারের বিমানবন্দরে নেমে শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার পথেই পড়বে। আধুনিক কাতারের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে শেখ আবদুল্লাহ বিন জসিম আল-থানির পুরোনো রাজপ্রাসাদের পাশেই এটি করা হয়েছে। জাদুঘর প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রাসাদটি মেরামত করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে, আসন্ন ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এটি দর্শকদের অন্যতম দর্শণীয় স্থানে পরিণত হবে। গোলাপ আকৃতির এই জাদুঘরটির স্থপতি ফ্রান্সের জেন নওভেল।

প্রখ্যাত এই স্থপতি টুইটে বলেন, এই স্থাপনা কাতারের ঐতিহ্যকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।

ভবনটির নকশা চোখে পড়ার মতো। এর প্রবেশমুখেই চোখে পড়বে ১১৪টি ভাস্কর্য। এর পাশেই রয়েছে ৯০০ মিটার লম্বা একটি হৃদ। ছাদগুলো করা হয়েছে গোলাপের পাপড়ির মতো। এর ভেতরে আছে ৭৬ হাজার সুড়ঙ্গ।

জাদুঘরের ভেতরের অংশে আছে প্রায় দেড় হাজার মিটারেরও বেশি প্রশস্ত জায়গা। বিছানো হয়েছে ১৫ লাখ উপসাগরীয় মুক্তাখচিত উনিশ শতকের কার্পেট।

জাদুঘরের পরিচালক শেখ আমনা বিনতে আব্দুল আজিজ বিন জসিম আল-থানি বিবৃতিতে বলেন, এ জাদুঘর কাতারের বেদুইনদের ইতিহাস এবং ধনীদের বর্তমান অবস্থার চিত্র জাদুঘরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সম্পদ সম্পর্কে ধারণাও দেওয়া হয়েছে। জাদুঘরটি কাতারের রাজনৈতিক পরিচয়ও বহন করে।

Bootstrap Image Preview