Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রাইভেটের নামে রাজধানীতে পুলিশদের অবৈধ অটোরিকশার রমরমা ব্যবসা

আসাদুল্লা লায়ন
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৫ PM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:২৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল


প্রাইভেটের নাম করে রাজধানী ঢাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার রমরমা ব্যবসা করছে অসংখ্য পুলিশ। একাধিক অটোরিকশার চালকের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি, বনানী, বসুন্ধরা ও উত্তরার ১৫ থেকে ২০ জন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি জানান। তবে কোনভাবেই অটোরিকশার মালিকের নাম তারা বলতে চান না। দু'একজন নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের পেটে লাথি মারবেন না। আমরা পুলিশ মালিকের নাম বলে দিলে তারা আমাদের গাড়ি চালাতে দিবে না। পরে পরিবার নিয়ে  খাবো কি?

এদের প্রতি খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, যে এরা মিটারে চলছে না, নেই রুট পারমিট, বাণিজ্যিকভাবে চলার অনুমতিও নেই। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হচ্ছে এদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। প্রাইভেট সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বাণিজ্যিক অটোরিকশা এভাবেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে রাজধানীজুড়ে। একদিকে মাসিক হিসেবে টাকা দিয়ে ম্যানেজ, অন্যদিকে প্রভাবশালীদের ফোনকলই যেনো রাজধানীতে অটোরিকশা চলাচলের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে প্রতিনিয়তই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫.৩০ মিনিট, মহাখালীর আমতলী থেকে এ্যাশ কালারের প্রাইভেট অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গুলশান যেতে চাইলে ১০০ টাকা ভাড়া দাবি করে। মিটারে ভাড়া আরো কম বললেই চালক বলেন মিটার নাই এটা প্রাইভেট। তাহলে তিনি ব্যক্তিগত অটোরিকশা এভাবে চালাচ্ছেন কেনো জানতে চাইলে বলেন, মালিক এসব বলতে পারবে। পুলিশ ঝামেলা করে না এসব ম্যানেজ করা বলেই তিনি এড়িয়ে যান।

এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব ব্যক্তিগত অটোরিকশা বাণিজ্যিকভাবে চলাচল উল্লেখযোগ্যহারে দেখা যায়।

প্রাইভেট নিবন্ধিত অটোরিকশা ভাড়ায় চলাচল করতে পারবে না এবং ভাড়ায় চললে তা আটক করতে হবে। চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) পরিচালনা পরিষদের ১০ম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বরের ১০ম সভায় আরও জানানো হয়, সিদ্ধান্তটি কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও রাজধানীজুড়ে অবাধে চলছে এসব অটোরিকশা।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এর এ্যাডভাইজার এ টি এম হেলাল উদ্দিন নাগরী বিডিমর্নিংকে জানান, আমাদের পরিচালনা পরিষদের সভায় প্রাইভেট অটোরিকশার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। এতে পুলিশের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিটিসিএ এর পক্ষ থেকে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। বিষয়টা এখন সরাসরি পুলিশ দেখবে।

বিআরটিএ ২০১৮ সালের মার্চের হিসেব মতে, ঢাকায় মোট সিএনজির সংখ্যা ৯ হাজার ২২টি। বিআরটিএ-এর অন্য একটি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ১৩ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে ঢাকায়। তবে ২০১৭ সালের এক হিসেবে দেখা যায়, বিআরটিএ ও মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে এখন প্রায় ১৫ হাজার ১৯৮টি অটোরিকশা চলাচল করছে।

ঢাকা-দ ১১-২৭-২৩ নম্বরের প্রাইভেট অটোরিকশাটি বাণিজ্যিকভাবেই চলছে পুরো সময়। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। কিন্তু তাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে কি পড়ে না?
এ ব্যাপারে চালক শামীম বলেন, এভাবেই চালাচ্ছি, সবকিছু ফোনেই ম্যানেজ হয়। মালিকের তিনটি গাড়ি আছে, এগুলোও একইভাবে চলে। মালিক বাড্ডা থানার পুলিশ রায়হান। আমি গ্যারেজে কাজ করতাম পরে এই মালিকের অটোরিকশা চালানো শুরু করি।

নতুনবাজার এলাকায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আমেরিকান এম্ব্যাসি থেকে অভিজাত এলাকা গুলশান ২-এ অটোরিকশা চলছে একেবারে লোকাল পরিবহনের মতো সিরিয়াল দিয়ে। একই কাতারে চলছে প্রাইভেট অটোরিকশাও। জনপ্রতি ১৫টাকায় ৫ জন যাত্রী নিয়ে গুলশান সার্কেল ২ এ যাচ্ছে প্রতিটি অটোরিকশা। এরপর গুলশান ২ এর চত্বর থেকে ১০টাকায় বনানী যাচ্ছে খুব সাচ্ছন্দেই।

এ বিষয়ে নতুনবজারের স্থানীয়রা বলেন, আমেরিকান এম্ব্যাসির আশেপাশে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে সবকিছু খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অথচ এই স্থানে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে অটোরিকশাগুলো আইন অমান্য করে কিভাবে চলাচল করে? মূলত এখানে লাখ লাখ টাকার ব্যবসা হয় বলেই সবাই চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এসবের একটি সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

বিষয়টি নিয়ে নতুনবাজার পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ইমরান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিমর্নিংকে কোনো জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

একাধিক অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা। তাদের ভাষ্যমতে মালিকদের সাথে পুলিশের চুক্তি রয়েছে।

কিন্তু নতুনবাজারে গুলশান থানার পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত এএসআই আব্দুর রশিদ বিডিমর্নিংকে বলেন, আমরা গুলশান থানার অধীনে এসব অটোরিকশা আমাদের দায়িত্বের বাহিরে। ট্রাফিক পুলিশের অধীনে এসব অটোরিকশা চলাচল করে তারা এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। আর সবসময় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। কিছু সময় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলে আমরা তা মানবিক কারণে ছেড়ে দেই।

ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডে দেখা যায় ঢাকা দ ১১ ০৩ ২০ নম্বরের একটি প্রাইভেট অটোরিকশা। জানতে চাইলে চালক বলেন, লোকাল চালাই অনেক দিন যাবত, কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু কিভাবে? জবাবে চালক জানান তার মালিক সিআইডির ইন্সপেক্টর মুকুল।

পরে মোবাইলে কথা হয় তার মালিকের সাথে। তিনি বিডিমর্নিংয়ের এই প্রতিবেদককে বলেন, এই গাড়িটা আমি নিজে ব্যবহার করি, ভাড়ায়ও চালাই। কিন্তু এটা শুধু প্রাইভেট ব্যবহারের জন্য, আইনগতভাবে এর বৈধতা নেই সেটা অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সমস্যা নাই'।

ঢাকা দ ১১ ০৯ ৮২ নম্বরের একটি প্রাইভেট অটোরিকশা যা বাণিজ্যিকভাবে চলতে দেখা যায়। ঢাকা দ, ১১.১৫.২৪ এই নম্বরের গাড়িটি ধানমন্ডি ৯/এ তে ইবনে সিনা হাসপাতের সামনে দেখা যায়। এটিও প্রাইভেট তবে যাত্রীর অপেক্ষা করছেন। প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে চালকের কাছে জানতে পারে, গাড়িটির সব কাগজপত্র আছে, সাথে আরো একটি কাগজ আছে যেটি অনিয়মকে নিয়ম বানিয়েছে। চালক বলেন, এখানে মালিকের নাম্বার আর সাইন করা আছে, বেশি সমস্যা হলে কল দিলেই হয়।

কিন্তু কে সেই অদৃশ্য শক্তি? চালক দাবি করেন তিনি পুলিশের লোক, মোহাম্মদপুর থানায় কর্মরত কিশোর কুমার। তার আরও অটোরিকশা রয়েছে।

এতো অটোরিকশার মালিক কি তিনি একাই? এমন প্রশ্নে চালক বলেন, আমি বলতে পারবো না। একজন ম্যানেজার আছে তিনিই সব দেখাশুনা করেন।

রাজধানির মিরপুর রোডের ল্যাবএইড এলাকায় দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ দ ১১ ০০ ৩৮ নম্বরের একটি প্রাইভেট অটোরিকশা, যার রাজধানীতে রোড পারমিট নেই। তাহলে কিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাদরে ঢাকা শহরে তিনি চলছেন? চালক বলেন, সবকিছু সিস্টেম করা আমি সারা ঢাকায় সাচ্ছন্দেই চালাই, পুলিশকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেই আর তাতেই সব সমস্যা সমাধান।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখান। বিডিমর্নিংয়ের পরিচয় দেয়ায় তিনি বলেন, "সাংবাদিকরা কিছু করতে পারবে না, পুলিশের বড় কর্মকর্তারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে" পর তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এসব প্রাইভেট অটোরিকশা চলাচলকারী একাধিক যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা বিডিমর্নিংকে বলেন, প্রাইভেট আর লোকাল দুইটাই সমান হারে চলছে। তবে ভাড়ায় বাণিজ্যিক অটোরিকশাগুলো মিটার না মানায় চুক্তিতে যেকোনোটাই ব্যবহার করেন তারা।

এখানে দেখা যায় ঢাকা থ ১৪-০২-৮৬ নম্বরের একটি অটোরিকশা চলছে তবে তার রোড পারমিট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মালিক দেখেন আমি জানি না। মালিক পুলিশের লোক।

বাণিজ্যিক অটোরিকশার মাঝে প্রাইভেট অটোরিকশা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দ ১১ ০৮ ৯৪ নম্বরের গাড়ির চালক বলেন, আমাদের কিছুই ঠিক নাই। ঠিক থাকলেও পুলিশকে টাকা দিয়েই ঢাকায় গাড়ি চালাতে হয়। প্রতিটি চেকপোস্টেই আমাদেরকে টাকা দিয়েই চলতে হয়। বর্তমানে বাজার ভালো না। যা ইনকাম করি তার অনেকটাই পুলিশকে দিতে হয়।

ঢাকা দ ১৪-০১-৩৯ নম্বরের গাড়িটিও প্রাইভেট রেজিস্টেশন করা। কিন্তু চালাচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে। জানতে চাইলে চালক ফারুক বিডিমর্নিংকে বলেন, প্রতি মাসে ট্রাফিকদের টাকা দিতে হয় এজন্যই লোকাল চালাতে পারি।

এদিকে রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে রায়ের বাজার এলাকায় নিয়মিত অটোরিকশা চলাচল করলেও বর্তমানে তা অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক চালকরা জানায়, তাদের অটোরিকশার রোড পারমিট না থাকায় তারা এখানে চালাতেন কয়েক মাস ধরে পুলিশের তৎপরতায় কমে গেলে নিয়মিত চালাচ্ছেন অনেকেই।

এছাড়া ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর থেকে রায়ের বাজার এলাকায় ১০টাকা জনপ্রতি ৫ জন করে যাত্রী পরিবহন করছে অটোরিকশাগুলো। তবে এখানে পুলিশের তৎপরতা নেই। অটোরিকশার মালিক বা চালকের সাথে পুলিশের সমঝোতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের অটোরিকশা আগে রাজধানীতে অবাধে চলাচল করলেও বর্তমানে ঢাকার বাইরের অটোরিকশা এখন আর ঢুকতে দেওয়া হয় না। মূলত অধিকাংশ এরকম রোড পারমিট না পাওয়া অটোরিকশাই ঝিগাতলা, ধানমণ্ডি ১৫ থেকে রায়ের বাজারে চলাচল করে থাকে। মোহাম্মদপুর তিন সড়ক এলাকা থেকেও ব্যাপকহারে চলছে এসব অটোরিকশা।

জানতে চাইলে ট্রাফিক-গুলশানের দায়িত্বরত এডিসি বিডিমর্নিংকে বলেন, আমরা নতুনবাজার থেকে গুলশানের এসব অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে অবগত আছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০টি অটোরিকশা আটক করা হয়েছে।

ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ডিসি প্রবীর কুমার রায় বিডিমর্নিংকে বলেন, বর্তমানে প্রাইভেট অটোরিকশা বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের একদমই সুযোগ নেই, এটা আইনগতভাবে অবৈধ। আমাদের নজরে আসলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি, মামলা দিচ্ছি। এছাড়া নতুনবাজার থেকে বনানী পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে প্রাইভেট ও বাণিজ্যিকভাবে অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে অবগত রয়েছি। বিষয়টা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, এটার আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছি।

রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রাইভেট অটোরিকশা

অবৈধ প্রাইভেট ও বাণিজ্যিক অটোরিকশার মালিকানায় ট্রাফিক পুলিশসহ এ বিভাগের দায়িত্বরতরা জড়িত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, আমি এটা নিয়ে অবগত রয়েছি যে মালিকানায় পুলিশ, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ প্রভাবশালীরাও জড়িত আছেন। তবে আইন সবার জন্য সমান। আমার এলাকায় এসব অটোরিকশা চলালে তার মালিক যেইহোক না কেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর রোড সেফটির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বিডিমর্নিংকে বলেন, আমাদের হিসেবমতে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে। প্রাইভেট অটোরিকশা বাণিজ্যিকভাবে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে চলাচলের বিষয়টি নিয়ে আমাদের মোবাইল কোর্ট নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। তবে প্রাইভেট অটোরিকশা সর্বশেষ কি পরিমাণ চলাচল করছে তা সঠিক জানাতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, 'দ' সিরিয়ালের সিএনজি চালিত অটোরিকশা (এ্যাশ কালার) প্রাইভেট রেজিস্টেশন করা যা বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের বৈধতা নেই। অন্যদিকে 'থ' সিরিয়ালের  সিএনজি চালিত অটোরিকশা (সবুজ কালার) যার নির্দিষ্ট রোডে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য অনুমোদন দেয়া হয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) থেকে।

Bootstrap Image Preview