Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আইন মানছে না বিআরটিসি, ঝুলেই যাচ্ছে যাত্রীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৭ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল


সরকারের নিয়ম মানছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি)। রাজধানী ঢাকাতে ২৯ জুলাই বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর তৈরি হওয়া এই তৎপরতার পর থেকে গণপরিবহনগুলোতে কিছুটা নিয়ম-নীতি মেনে চলার তৎপরতা দেখা গেছে। যত্রতত্র বাস না থামানো, গেটলক করে যাত্রী নেয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাসের ফিটনেস, কাগজপত্র সাথে রাখছে। ট্রাফিক পুলিশও তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহী ও যাত্রীদের হেলমেট ব্যবহারের বিষয়েও কঠোর হয়েছে পুলিশ। তবে গণপরিবহনের এই শৃঙ্খলার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা বিআরটিসির বাসে।

বিআরটিসি বাসের নিয়ম-নীতির তেমন তোয়াক্কা না করেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। যত্রতত্র বাস থামনো, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী নেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। অথচ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি থেকে যত্রতত্র বাস না থামাতে, বাসের দরজায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী না নেয়ার মতো অনেক নির্দেশনা আছে। যা কমই মানছে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলা বিআরটিসি বাসগুলো।

বর্তমানে মতিঝিল বাস ডিপো, কল্যাণপুর বাস ডিপো, মিরপুর বাস ডিপো, মোহাম্মদপুর ডিপো, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো, গাজীপুর বাস ডিপো, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো, উথলী বাস ডিপো এবং নরসিংদী বাস ডিপো থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু আছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, টঙ্গী থেকে মতিঝিল রুটে চলাচল করা বিআরটিসির বাসসহ অন্যান্য রুটে চলা বিআরটিসি বাসকে দেখা গেছে নির্দেশনা অমান্য করে চলতে।

গত ২৯ আগস্ট ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে নিরাপদ গণপরিবহন হিসেবে পরিচালনার জন্য বিআরটিসির সকল ডিপো ম্যানেজারকে (অপারেশন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) থেকে অনেকগুলো নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্ধারিত স্টপেজ ব্যতিত যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও পার্কিং না করা, যাত্রী উঠানো-নামানোর সময় ফুটপাত ঘেঁষে এমনভাবে গাড়ি সাইড করতে হবে যেন বামপাশে দিয়ে অন্যকোন গাড়ি প্রবেশ/চলাচল করতে না পারে, চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চালককে মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকা, বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসসহ অন্যান্য বাসের দরজা ও বাম্পারে যাত্রী ঝুলন্ত বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবহন না করাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একইভাবে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসের দ্বিতীয় তলায় সিটিং যাত্রীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়াকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিআরটিসি থেকে ডিপোগুলোতে পাঠানো আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ও যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বিতীয় তলায় শুধু সিটিংযাত্রী নেয়া অর্থ্যৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন না করা।

সরেজমিনে মোহাম্মাদপুর বাস ডিপো থেকে ছেড়ে যাওয়া কুড়িল বিশ্বরোডে চলা বিআরটিসি বাসে চড়ে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ডিপো থেকে টিকিট কেটে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়ার পরেই কিছুদূর যেতেই যাত্রী উঠানোয় ব্যস্ত থাকে হেলপার। কোন সিট ফাঁকা না থাকলেও যাত্রী উঠানো থেমে থাকে না। কিছুদূর যেতেই পুরো বাসে যাত্রী দাঁড়ানোরও জায়গা পাওয়া যায় না। এরইমধ্যে চলন্ত বাসেই দৌড় দিয়ে কয়েকজন তরুণ উঠলো। সিট আছে কী না জানতে চাইতেই হেলপারের বলে উঠলেন, দাঁড়িয়েই যাত্রী নিয়ে পারি না, সিট। এভাবে পুরো পথেই থেমে থেমে যাত্রী উঠানো চলতে থাকে।  দ্বিতলায় বসে ও দাঁড়িয়ে যাত্রী ভরাট হলেই দরজার মুখে ঝুলে যাত্রী যাওয়া শুরু হয়। অথচ দ্বিতলায় দাঁড়িয়ে যাত্রী না নিতে বিআরটিসি থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

একই চিত্র দেখা যায়, টঙ্গী থেকে মতিঝিলগামী বিআরটিসি বাসে। টঙ্গী থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে এই বাসে উঠলে প্রতিবেদক দেখতে পান, এয়ারপোর্ট এলাকায় আসতে আসতে পুরো বাসে যাত্রী ভরাট হয়ে যায়। এরপরও পুরো পথে যাত্রী উঠাতে উঠাতে আসতে থাকে বাসটি।

রাজীব নামের এক যাত্রী ক্ষোভ নিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, এর চেয়ে লোকাল বাস অনেক ভালো। রাগ ঝেড়ে বললেন বিআরটিসি বাসে মানুষ উঠে নাকি।
তার সাথে যখন কথা হয় কিছুদূর যেতে যেতে সিগনালে বা বাস পাওয়ার আশায় যাত্রীদের হাত উঠিয়ে সিগনাল দিলে বাস থেমে যাত্রী উঠায়। বাসটি বিজয় স্বরণি এলাকায় আসতেই শুরু হয় হুমড়ি খেয়ে বাসে উঠা এবং ঝুলে যাত্রী উঠার প্রতিযোগিতা। তিল ধারনের ঠায় না থাকলেও হেলপার বিভিন্ন গন্তব্যের যাওয়ার জন্য হাকডাক দিয়ে যাত্রী ডাকছেন।

ঝুলে যাওয়া যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য গণপরিবহনগুলো গেটলক করায় ও দাঁড়িয়ে যাত্রী না নেওয়ায় এখন বাস পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বিআরটিসি বাসে যেতে হয় তাদের।    

একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন শরিফুল হক, যাবেন মতিঝিলে। ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিডিমর্নিংকে তিনি জানান, অফিস টাইম। ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে হবে। সে কারণে বাধ্য হয়ে ঝুলে যেতে হয়। তা ছাড়া এই সময়ে অধিকাংশ বাসেই কিন্তু একই অবস্থা থাকে। সে কারণে অনন্যোপায় হয়ে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে যেতে হয়। যেতে যেতে হয়তো আবার জায়গা হয়ে যাবে।

শরিফুল হকের কথার সত্যতা মিললো হেলপারের সাথে কথা বলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই হেলপার জানান, বাস না পেয়ে যাত্রীরা কী করবে। যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে, ঝুঁকি নিয়ে উঠে। না নিতে চাইলেও জোর করে উঠে যায়। তাদেরও তাড়া থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে নিতে হয়।

বিআরটিসি বাসের আরও কয়েকজন হেলপারের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, বাসের সিটিং অনুযায়ী যে ভাড়া তার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিতে হয় প্রতি টিপে। ফলে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে হয়। তবে এসব হেলপাররাও বলেন, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী নিতে না চাইলেও যাত্রীরাই জোর করে উঠে। তবে এই চিত্র বিশেষ করে সকালে ও বিকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা যায়।

একই কথা বলেছেন বিভিন্ন ডিপোর দায়িত্বে থাকা ম্যানেজাররা (অপারেশনরা)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ডিপোর অপারেশন ম্যানেজার প্রতিবেদককে বলেন, বিআরটিসি গণপরিবহন হওয়ায় এখানে চাইলেও যাত্রীদের উঠানো বন্ধ করা যায় না। তবে ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে যাত্রী যাওয়ার এই ঘটনা ঘটে পিক আওয়ারে। সকলের অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) ডেপুটে জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) কাজী নাসিরুল হক বিডিমর্নিংকে বলেন, প্রতিটি বাস ডিপোতে নির্দেশনা আছে যত্রতত্র ধামানো যাবে না, অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। বাইরে ঝুলে কোন যাত্রী নেয়া যাবে না। বাইরের বাম্পার বা অন্য কোন জায়গায় ঝুলে যাওয়া যাবে না।

তবে বাড়তি যাত্রী নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিআরটিসি গণপরিবহন। পিক আওয়ারে চাইলেও যাত্রী নেয়া বন্ধ করা যায় না। ফলে বাস স্বল্পতার কারণে সেটা বন্ধ করা যায় না। তবে ঝুলে যাত্রী নেয়া, যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী নেয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় একটি ডিপো থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ জানালে এই প্রতিবেদকের সামনে তাৎক্ষণিক সেই ডিপোতে কল দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তবে একই সাথে যাত্রী সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি জানান, আমাদের বিআরটিসি বাসে একজন চালক, হেলপার থাকে। তারা কিন্তু যাত্রীদের ঝুলে যাওয়া বন্ধ করতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা উঠলে সেই দায়ভার কিন্তু তাদের। আমরা যততত্র যাত্রী না উঠানো এবং বেশি ভাড়া নেয়া এগুলো বন্ধ করতে পারি। ট্রাফিক পুলিশকেও আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এরপরও এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা ডিপোগুলোতে ব্যবস্থা নিতে বলি। তা ছাড়া আমরা চালকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। চালকদের জন্য মোটিভেশনাল কার্যক্রমও হাতে নেয়।

রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিআরটিসি বাস ডাবল ডেকার হওয়ার কারণে বেশি যাত্রী বহন করতে পারে। আর এসব বাসে ঝুলে যাত্রী যাওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। অন্য গণপরিবহনগুলোর গেটলক করা গেলেও বিআরটিসি বাসে সেটা সম্ভব হয় না। ফলে অফিস টাইমে বেশি যাত্রী ঝুলে যায়। কিন্তু সেগুলো বন্ধ করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে থাকে। তবে যাত্রীদের অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকায় তাদের অনুরোধে অনেক সময় সেটা সম্ভব হয় না। এরপরও ট্রাফিক পুলিশ বিআরটিসি বাসসহ সকল বাসের নিরাপদ যাতায়াত ও শৃঙ্খলা মেনে চলাচল নিশ্চয়তায় কাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক পুলিশ বিডিমর্নিংকে বলেন, সকাল থেকেই দুটো বিআরটিসি বাসের বিরুদ্ধে যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী উঠানোর জন্য মামলা করা হয়েছে। বিআরটিসি বাসের কাগজপত্র বেশিরভাগ সময় চালকের কাছে থাকে না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার মতো তেমন কোন কাগজ থাকে না। আগে চালকদের নামিয়ে কান ধরে উঠবস করাতাম। সেটা অনেকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দিতো। ফলে এটা আবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে যায়। আমরা এর পরও চেষ্টা করছি শুধু বিআরটিসি বাস না, সকল গণপরিবহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে।’ যেকোন বাসই নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিডিমর্নিংকে বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হলে প্রতিটি বাসকে দরজা বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে থামানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। আর সেটা করা হলে কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে উঠার সুযোগ থাকবে না। ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে গেলে, ব্রেক করলে বা যেকোন মুহুর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের বিষয়ে পরিবহন স্বল্পতার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাত্রী অনুযায়ী কিন্তু পরিবহনের ব্যবস্থা নেই। পরিবহনের এই চাহিদা পূরণ করতে মেট্রোরেল, পাতাল রেল বা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট চালুর বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

যাত্রীদের পরিবহন সেবা দিতে রাজধানীতে প্রতিদিন গণপরিবহনগুলোর ৩০ মিলিয়ন ট্রিপ (যাতায়াত) প্রয়োজন। যা গণপরিবহন দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে মাস ট্রানজিট চালু হলে সেই চাপ কমবে এবং ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতও কমে যাবে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিডিমর্নিংকে জানান, আমরা শুধু বিআরটিসি বাস না, সকল বাসের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। সে কারণে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রাফিক বিভাগের কথার সাথে বাস্তবতার সমন্বয় খুব কম বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তারা অভিযোগ করেন, বিআরটিসির যাত্রীসেবাও যেমন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে তেমনি ট্রাফিকরাও এসব অনিয়ম দেখে চোখবুঝে থাকে। তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেন না। অগত্যা আমরা সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়ি। তাই অতিরিক্ত যাত্রীবোঝায় করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার কোন অর্থ হয় না। এসব অনিয়মের অবসান হওয়া প্রয়োজন।

Bootstrap Image Preview