টঙ্গীতে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিশু শিক্ষার্থীকে (১১) ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছেন শিক্ষক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
অভিযুক্ত শাহ আলম (৩৫) মাছিমপুর এলাকার একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
ভুক্তভোগীদের স্বজন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থী দুইজনই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ভাড়া বাসায় বাস করতো। তারা স্থানীয় ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানায় থেকে নূরানি বিভাগে শিশু শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
ঘটনার দিন গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযুক্ত শাহ আলম মাদ্রাসার নিচ তলায় ছাত্রদের থাকার রুমে প্রবেশ করে পর পর দুই শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলৎকার করে। পরদিন সকালে ঘটনার বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। দুই শিশু বাসায় এসে তাদের বাবা মাকে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জানায়।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া হুজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পরে ঠেকে যাবেন বলে ভয় দেখিয়ে শিশুদের পরিবারকে মামলা করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন।
ওই মাদ্রাসার মোতোয়ালি মামুন উর রশিদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। আমরা ওই শিক্ষককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।