দেশে সর্বশেষ নারী ফুটবল লিগ হয়েছে ২০১৩ সালে। সেটি ছিল নারী ফুটবল লিগের দ্বিতীয় আসর। প্রথমটি হয়েছিল ২০১১ সালে। অর্ধযুগ পর মাঠে গড়াচ্ছে লিগের তৃতীয় আসর।
৮ দল নিয়ে ৩১ জানুয়ারি লিগ শুরুর কথা থাকলেও হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, পরের দিন ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। দুইদিন যানবাহন বন্ধ থাকবে। তাই নির্ধারিত সময়ে লিগ শুরু নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।
খেলা যেদিনই শুরু হোক, লিগ হওয়াটাকেও দারুণ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের নারী ফুটবলাররা। কারণ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেয়েরা মাঠ দাপালেও ঘরোয়া ফুটবলে খেলার সুযোগ ছিল না তাদের। দীর্ঘদিন পর সেই সুযোগ তাদের সামনে। প্রায় ২০০ মেয়ে এই লিগের মাধ্যমে উপকৃতি হবে।
শেষ হয়েছে মেয়েদের লিগের দলবদল। শেষ দিনেই সিংহভাগ ক্লাব তাদের খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। তবে পুরুষ ফুটবলের মতো নারী ফুটবলের দলবদলেও চকম দেখিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র এই ক্লাবটি অংশ নিচ্ছে নারী ফুটবলে। বাকিগুলো সাড়া দেয়নি বাফুফের ডাকে।
যে কারণে, এখান-ওখান থেকে অচেনা কতগুলো দল এনে লিগটা মাঠে নামাতে হচ্ছে বাফুফেকে। বসুন্ধরা কিংস ছাড়া অন্য ৭ দলের নাম দেখলে সবাই মাথা চুলকাবেন। বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব, এফসি উত্তর বঙ্গ, কাঁচারিপাড়া একাদশ, কুমিল্লা ইউনাইটেড, নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব, স্বপ্নচূড়া অ্যান্ড আকেলপুর ফুটবল একাডেমি, স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট ফুটবল ক্লাব অংশ নিচ্ছে তৃতীয় নারী ফুটবল লিগে।