ক্যাসিনোর মতো অবৈধ জুয়া ও মাদকের আসর গড়েছে দেশের নামিদামি ক্লাবগুলো। যেখানে সর্বশান্ত হচ্ছেন উঠতি তরুণ-তরুণী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণির মানুষ। অবৈধ এই জুয়ার বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খল বাহিনী। এই অভিযান নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী।
ক্লাবগুলোতে তাস খেলা বন্ধ করলে ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করবে বলেও দাবি করেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সাংসদ।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুল হক চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে শতদল, ফ্রেন্ডস, আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২টি ক্লাব আছে। ক্লাবগুলো প্রিমিয়ার লিগে খেলে। ওদের তো ধ্বংস করা যাবে না। ওদের খেলাধুলা বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন কি খেলোয়াড়দের পাঁচ টাকা বেতন দেয়? ওরা কীভাবে খেলে, টাকা কোন জায়গা থেকে আসে, সরকার কি ওদের টাকা দেয়? দেয় না। এই ক্লাবগুলো তো পরিচালনা করতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে বসে তাস খেলেন। এটা কি জুয়া হলো? জুয়া হলে তো আপনারা প্রেসক্লাবেও বসতে পারবেন না। তাস খেললেও জুয়া। তাস ধরলেই জুয়া। আর অভিযানে ক্যাসিনো বের করতে পারলে তাদের বাহবা দেওয়া যেত।’
তাস খেলার অপরাধে যদি ক্লাবে অভিযান হতে পারে তাহলে ঘুষের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনকে বলব, ঘুষের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের ধরেন। ঘুষ যারা নেন, তাদের ধরেন। যারা দেন, তাদেরও ধরেন।’
ঘুষ কে খান— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘আপনি খান। আমি খাই। সবাই ঘুষ খান।’ ঘুষ কে দেন—জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনি দেন। আমি দিই। সবাই দেন। তাদের ধরেন।’
সরকার দলীয় সাংসদের দাবি প্রধানমন্ত্রী ক্যাসিনো ধরতে বলেছেন, তাই তাস খেলা বন্ধ না করতে তার আহবান। হুইপ বলেন, ‘ক্লাবের তাস খেলা বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তাস খেলা বন্ধ করলে ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করবে। এটা বন্ধ করে লাভ হবে না। এখানে কোনো ক্যাসিনো নেই। ক্যাসিনো ধরেন, তাস খেলা হয় এ রকম ক্লাব ধরবেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসিনো এবং মদের ব্যবসা যারা করেন, তাদের ধরতে বলেছেন।’