Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঈদুল আজহার ফজিলত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫২ PM আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


এক. ঈদের রাতের ফজিলত ও আমল : দুই ঈদের রাত অত্যন্ত গুরুত্ব¡পূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। ঈদ যেমন আনন্দের বারতা নিয়ে আসে, তেমন নিয়ে আসে আল্লাহর নৈকট্যলাভের মহাসুযোগ।

ঈদের রাত যেমন আনন্দ-খুশির, ঠিক দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ ও মঙ্গলপ্রাপ্তির রাত; জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতলাভের মহাসুযোগপ্রাপ্তির রাত। তাই ঈদের রাত জেগে ইবাদত করার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। ঈদের রাতের ফজিলতের কথা বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

যেমন ইবনে মাজার মধ্যে দুই ঈদের রাতের ফজিলতের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে জাগ্রত থাকবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ওই দিন মৃত্যুবরণ করবে না যেদিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে।’ ইবনে মাজাহ।

অর্থাৎ কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার সময় প্রতিটি মানুষের অন্তর যখন ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে এবং মানুষের হিতাহিত জ্ঞান বলতে কিছুই থাকবে না তখনো ঈদের রাতে ইবাদতকারীর অন্তর থাকবে নিশ্চিন্ত ও প্রফুল্ল।

কারণ, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতের অধিবাসী হবে। কানজুল উম্মালের মধ্যে চার রাতের ফজিলতের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি চারটি রাত ইবাদতের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাতগুলো হলো-জিলহাজ মাসের ৮ তারিখের রাত, আরাফার রাত, ঈদুল আজহার রাত এবং ঈদুল ফিতরের রাত।’ কানজুল উম্মাল।

সুতরাং মুমিনের জীবনে উভয় ঈদের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হলো, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে জাগ্রত থেকে নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর  নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করা।

দোয়া-ইসতিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে কবরের আজাব ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া। এবং উভয় রাতে আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদানলাভের শ্রেষ্ঠ সুযোগ হাতছাড়া না করা।

দুই. ঈদুল আজহার দিনের ফজিলত ও আমল : ঈদুল আজহার দিনে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল হচ্ছে কোরবানি করা। রসুলুল্লাহ ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিনে কোনো আদমসন্তানের কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা থেকে আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় কোনো আমল নেই।

কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, ক্ষুর, লোম প্রভৃতি নিয়ে উপস্থিত হবে। এবং তার রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নির্ধারিত মর্যাদার স্থানে পতিত হয়। অতএব, তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে কোরবানি কর।’ ইবনে মাজাহ।

ঈদুল আজহার নামাজের উদ্দেশ্যে গোসল করা, যথাসাধ্য পরিষ্কার ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করে ঈদগহে উচ্চৈঃস্বরে তাকবির পাঠ করতে করতে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত। ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে খালি পেটে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া সুন্নত।

সম্ভব হলে ঈদের নামাজের পর দ্রুত কোরবানি সম্পন্ন করে কোরবানির গোশত দিয়েই ঈদের দিনের আহার শুরু করা মুস্তাহাব। কোরবানির গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয়স্বজন ও এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা মুস্তাহাব।

Bootstrap Image Preview