বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন। মঙ্গলবার বরগুনা পুলিশ লাইনসে মিন্নির বক্তব্য রেকর্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
মেয়েকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। ধারণা করা হচ্ছে, কারো সঙ্গে যোগসাজশে আমার মেয়েকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেখেছে আমার মেয়ে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে।’
এদিকে মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানান, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে ১০টার সময় মিন্নিকে আনার জন্য নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়। তারা পরিবারকে জানিয়েছিল, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশে লাইনে যেতে হবে।
এর আগে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা নয়াকাটা এলাকার নিজ বাসা থেকে বরগুনার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরের দিন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।