Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবাকে থানায় ধরে আনলেন ওসি, ছেলেকে ১ লাখ টাকা আনতে বললেন এসআই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯, ১০:১৯ PM আপডেট: ১২ জুন ২০১৯, ১০:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী ও লক্ষ্মীপুর পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১ জুন ব্যবসায়ী আবদুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলার চরভূতা গ্রামের হারুনুর রশিদকে সদর থানায় মোবাইলে কল করে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় হারুনকে এসআই ইয়াকুব হুমকি দেন আজিজের তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য। ওই টাকা না দিলে হারুন ও তার ছেলেদেরকে ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করে হাজতে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু আজিজের সঙ্গে হারুনের কোনো লেনদেন নেই। এমনি হারুন তাকে চেনেন না। একপর্যায়ে ওসি লোকমান হোসেনের নির্দেশে হারুনকে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে এসআই ইয়াকুব হারুনের ছেলেকে এক লাখ টাকা ও ব্যাংকের চেক নিয়ে আসার জন্য বলেন। থানায় গেলে হারুনের ছেলে শাহিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, জোরপূর্বক চেকে ও সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেন এসআই ইয়াকুব।

বাদীর আইনজীবী তছলিম আলম বলেন, ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, গত ২৯ মে হারুনদের বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা পাওনার ঘটনায় আজিজ থানায় অভিযোগ দেন। পরে উভয়পক্ষ থানায় মিলিত হয়। এখানে কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় ও বাধ্য করা হয়নি। মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক।

Bootstrap Image Preview