তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার সুইস হোটেলে শুরু হয়েছে 'বাংলাদেশী খাদ্যউৎসব'। বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা আয়োজিত খাদ্যউৎসবটি চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তুর্কী অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
অংশগ্রহণকারী অতিথিদের মধ্যে ছিলন তুরস্কের সংসদ সদস্যবৃন্দ, আঙ্কারার ডেপুটি গভর্নর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ এবং আঙ্কারার কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ। ইস্তান্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জনাব ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বাঙালির উন্নত রন্ধন ঐতিহ্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণী অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশের চিরচেনা মুখরোচক রন্ধনশৈলী, বাঙালি খাবার ও খাদ্যাভাস তুরস্কের জনসাধারণের মাঝে পরিচিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিদের বলেন যে, বাঙালি সত্ত্বা অনুধাবনের জন্য অবশ্যই বাঙালির কাব্য ঐতিহ্য, কারু ও চারুশিল্প, খাদ্য এবং ক্রিকেটের প্রতি তার অনুরক্তি বুঝতে হবে। বাংলাদেশের এসব অর্জন বিশে^র অন্যান্য দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করে।
তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ হতে আগত দুই শেফ আহসান হাবিব বিপ্লব ও মীর মোঃ শহীদুল আলমকে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেন-যারা তুরস্কের খাদ্য-প্রেমিদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যময় মুখরোচক খাদ্য প্রস্তুত করেছেন।
এ উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সুপরিচিত খাবারের মধ্যে ভাঁপা ইলিশ, তেহারী, ভেজা বাকরখানি ও লাচ্চা সেমাই অতিথিবৃন্দের কাছে সমধিক প্রশংসিত হয়।
দূতাবাস খাদ্য উৎসবের পাশাপাশি হোটেলের অনুষ্ঠানস্থলে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্জনসমূহের উপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
উক্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশে চলমান উন্নয়নশীলতার প্রতিচ্ছবি আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের সামনে উদ্ভাসিত হয়।