২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ ছবির পরিচালক অরিন্দম শীলের হাত ধরে প্রথম কলকাতার ছবিতে অভিনয় শুরু করেন এপার ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এরপরে অরিন্দমের আরেকটি ছবি ‘ঈগলের চোখ’-এও দেখা যায় তাকে। অরিন্দমের পরে এই অভিনেত্রী ওপার বাংলার আরও অনেক নামি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেও তার সঙ্গে সম্পর্কটা বরাবরই ছিল একটু অন্য রকম। কিন্তু আজ সেই সুন্দর একটি সম্পর্কে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে অরিন্দমের একটি মন্তব্যে।
ভারতীয় বাংলার এই পরিচালক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জয়া বোধ হয় কিছু একটা করেছে ওর মুখে।’ তার বলা এই কথা স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত করেন প্লাস্টিক সার্জারির দিকে। এরপরে তার কাছে প্রিয় নায়িকা কে এটা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘জয়াকে তিনি দুই নম্বরে রাখেন।’ কিন্তু এর আগে সব সময়ই তার পছন্দের শীর্ষে ছিলেন এই অভিনেত্রী। এমনকি চলতি বছরের মার্চে তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছিলেন, ‘টালিগঞ্জের এক নম্বর নায়িকা হচ্ছেন জয়া।’
হঠাৎ করেই কী এমন হলো? যে উত্তরে পরিচালক সরাসরি ইঙ্গিত করেছিলেন এই অভিনেত্রীর সার্জারির দিকে। তার এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেননি জয়া। এরপর গেরিলা খ্যাত এই অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যে রুচিশীল মানুষটার হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলাম,আসলে সেই মানুষটার রুচির সঙ্গে এই কথাগুলো যিনি বলেছেন তাঁকে আমি কোনভাবেই মেলাতে পারছি না। আমার নতুন ছবি ‘বিজয়া’ জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাচ্ছে। আমি চাইব তিনি ছবিটা দেখুক। আশা করি এরপর তিনি তার বলা এই বিবৃতিটা পাল্টাবেন। তিনি চাইলে ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিটাও এর মধ্যে দেখে নিতে পারেন। যদি এই দুটি ছবি দেখার পর তিনি তার দেওয়া এই বিবৃতিটা চেঞ্জ করেন, তাহলে আমি সেটাতে সম্মানিত বোধ করব।’
অরিন্দম তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরো কয়েকজন অভিনেত্রীর সার্জারির ব্যাপারে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁদের কারো নাম তিনি উল্লেখ করেননি। এটাও বেশ অবাক করেছে জয়াকে। আর সেই প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘দেখলাম তিনি আরো দুজন অভিনেত্রীর ব্যাপারেও একই রকম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের নাম তিনি নেননি। আর এই ব্যাপারটাতে আমি আরও বেশি আশ্চর্য হলাম।’