পাওয়ার হিটিং নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি ব্যাটারদের। শারিরীক গঠনের জন্যই তারা পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়, এমন কথা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মুখেই শোনা গেছে বহুবার। তবে দক্ষতা আর টাইমিং দিয়েও বড় শট খেলা যায়, দ্রুত রান তোলা যায়।টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, শট খেলার দক্ষতা বিবেচনায় বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মাদের থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বরং এক্ষেত্রে কোহলির চেয়েও ভালো আফিফ হোসেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য যেন হ্যালির ধুমকেতু। কালে-ভদ্রে জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারদের পারফরম্যান্স গ্রাফ কেবলই নিম্নমুখী। যেখানে বড় দায় ব্যাটারদের। এই সংস্করণের ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প নেই, অথচ সেখানে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। তারপরও ব্যাটারদের ওপর আস্থা রাখছেন সুজন।
বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর বলেন, 'রোহিত শর্মা যে শট খেলে, বাংলাদেশের একটা ছেলে সেই শট পারে না। সেটা আমি বিশ্বাসই করি না, কোনো সময় বিশ্বাস করি না। যেটা বিরাট (কোহলি) পারে, আফিফ পারবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের আফিফ হয়তো ওর চেয়ে ভালো পারে।'চলমান এশিয়া কাপে বাংলাদেশ যে দল নিয়ে খেলেছে, ক্রিকেটারদের ম্যাচ সংখ্যার বিচারে সেই দল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অভিজ্ঞ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন, এবারের এশিয়া কাপে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশেরই ৩ জন।
অথচ আইসিসির সহযোগী দেশ হংকংকে বাদ দিয়ে পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে তলানিতে থাকবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছে সাকিবের দল। দুই ম্যাচেই হারের বড় কারণ ইনিংসের শেষ দিকে বাজে বোলিং। বোলারদের প্রসঙ্গে সুজন, 'বোলাররাও যে এক্সিকিউট করতে পারবে না অন্য দেশের বোলারদের মতো, আমি এটা একদমই বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি আমাদের বোলাররা হয়তো অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। কিন্তু ওই যে সাহসিকতার জায়গাটা, একটা জায়গায় বারবার মার খেয়ে যাচ্ছি।'