Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘চাচাতো ভাই আমার কাপড় খুলে, কামড়ে দাগ বসিয়ে দেয়’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২২, ০৪:৫১ PM
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২, ০৪:৫১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


খুলনার কয়রায় নারীকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার মহেশ্বরপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ী গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমান।

পরিদর্শক বলেন, ‘তারা দুজনই ওই নারীকে মারধরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাবা মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে ওই নারীর চাচা-চাচাতো ভাইসহ ১৪ জনকে। এজাহারে বলা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতনের ঘটনাটি গত ১১ জুলাই সকালে উপজেলার মহেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটেছে বলে ওই নারী জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার জমি নিয়ে চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। চাচারা বিভিন্ন সময় বাবার জমি দখল করতে আসে। তিন বছর আগে থেকে খুলনার আদালতে এই জমি নিয়ে একটি মামলা চলছে।

‘এরপরও তারা আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য পাঁয়তারা করছে। বারবার বাবার জমিতে ঘর বানাতে চাচ্ছে। তাদের সঙ্গে না পেরে, ঈদের বিকেলে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করি আমরা।’

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘ঈদের পরদিন ১১ জুলাই সকালে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই সাইফুল, সোয়েব, সালাহ উদ্দীন, ফিরোজসহ কয়েকজন মিলে আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় রাস্তায়। তারা আমাকে একাধারে মারধর করতে থাকে। আমার কাপড় খুলে রাস্তার পাশের মেহগনি গাছে বেঁধে আবারও মারধর করে। আমাকে কামড়ে দাগ বসিয়ে দেয়। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’

তার বোনের স্বামী বলেন, ‘বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে তারা গাছে বেঁধে রেখে আমার শ্বশুরের জমিতে ঘর তৈরি করছিল। তখন ঘটনাটি জানতে পেরে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিই। পরে কয়রা থানার এসআই মাসুদের নেতৃত্বে দুই গাড়ি পুলিশ এসে গাছ থেকে দড়ি খুলে তাকে মুক্ত করে।’

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন তাদের বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার সালিশ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এখন আর কেউ যায় না। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছিলাম।'

Bootstrap Image Preview