Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দিন দিন শিশুরা আসক্ত হচ্ছে অনলাইনে উদ্বিগ্ন অভিবাবকরা

পর্ব -০৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ AM
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


হৃদয় দেবনাথ,  সিলেট।। মৌলভীবাজার সহ সারাদেশেই স্মার্টফোনের বিভিন্ন অনলাইন গেইমে প্রচন্ডভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশু তরুণ এমনকি যুবকরা ।মূলত করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার সময় থেকেই শিশু কিশোরদের মধ্যে অনলাইন মোবাইল গেইমের প্রতি আগ্রহ তৈরী হয় আর সেই আগ্রহই এখন শিশু কিশোরদের মধ্যে ভয়ানকভাবে আসক্তি তৈরী করেছে।’ বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ, ২০২০ সালে । এরপর দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে মরণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মৃত্যু দেশবাসীকে আতংকিত করে তোলে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক থেকে শুরু সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় সরকার। মরণঘাতী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা-বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠান শুধু তাই নয়  লকডাউনের কারণে বাড়ির বাহিরে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের। মূলত ঘরবন্ধী থাকার কারণেই মোবাইলফোনের অনলাইন গেমস খেলাতে অভস্ত হয়ে পরে শিক্ষার্থীরা। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আসক্তিতে রুপ নেয়। প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন ঘরবন্ধী হয়ে বাইরে যেতে না পারায় স্কুলগামী সকল শিশু-কিশোররা দিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল ফোনের বিভিন্ন গেইমস নিয়ে ব‌্যস্ত ছিল। আর এ অভ্যাসই একসময় প্রচন্ড আসক্তিতে রুপ নেয় । যার ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে শিক্ষার্থীদের বাবা মা ,শিক্ষক সমাজ থেকে শুরু করে সচেতন মহল । তবে দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় পেরিয়ে কমতে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা । আক্রান্তের সাথে মৃত্যুহার কমে আসায় প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলে দেয়া হয়েছে । তবে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে মোবাইল গেমসে আসক্ত হয়ে পড়া শিশু শিক্ষার্থীরা গেমসের এ আসক্তি থেকে এখনো বের হতে পারেনি এসব শিশু। বরং এই আসক্তি এখন প্রতি ঘরে ঘরে দিন দিন বেড়েই চলছে । এতে করে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে বিদ্যালয় শিক্ষক অভিভাবক এমনকি সচেতন মহল ।

করোনা মহামারীর সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের অনলাইনেই পাঠদান করিয়েছে । মূলত করোনাকালীন সময়ের অনলাইন পাঠদানের সময় থেকেই মূলত শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে শেষ করে পরবর্তী সময় থেকেই মোবাইলফোনে গেমস নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে যায় এমন চিত্র বেশিরভাগ পরিবারে ।এ নিয়ে প্রায় অভিভাকই সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন । অনেক অভিভাক জানিয়েছেন অনলাইন মোবাইল ফোনের এই গেমস খেলতে গিয়ে তারা অভিভাবকদের প্রচুর অর্থও নষ্ট করছে। এতে অভিভাবক, মনোবিজ্ঞানী, চিকিৎসক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানীরা চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, কয়েকজন শিক্ষার্থীও এই গেইম আসক্তির কথা জানিয়েছে। প্রযুক্তির প্রতি বেশি আসক্ত হওয়ার কারণে যাদের নিয়ে এত টেনশন তারা কী ভাবছে?

এই নিয়ে সাফায়েত ইসলাম নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাফ জবাব, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় সময় কাটাতে মোবাইলফোনে অনলাইনে গেমস খেলতে খেলতে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন না খেললে ভালো লাগেনা । বরং এখন আর বাইরে গিয়ে অন্যান্য খেলা খেলতেও ভালো লাগেনা বলে সাফ জবাব এই শিক্ষার্থীর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষার্থী জানান,মোবাইল ফোনের অনলাইন এই গেমসে সে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্যও বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না তার ।

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শুভ পাল বলেন,বাসায় বসে থেকে কতক্ষণ টিভি দেখবো, বই পড়বো? সারাদিন কী করবো? তাই গেমস খেলি, অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে কথাও বলি।’ শ্রীমঙ্গল শহরের অষ্টম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থীর ঝটপট উত্তর, ‘করোনার শুরু হওয়ার পর দীর্ঘদিন স্কুলে যেতে পারিনি। বাইরে খেলতে, ঘুরতে আর কোথাও বেড়াতেও যেতে পারিনি । তাই সে সময়টাতে বাধ্য হয়ে মোবাইলফোনে অনলাইনে গেমস খেলেছি । মোবাইল ফোন অনলাইন গেইমস খেলতে তার খুব ভালো লাগতো বলেও জানায় সে । তবে, সেই সময়ের খেলার অভ্যাসটা এখন পরিবর্তন করার চেষ্টা করেও  পারছে না বলেও জানায় সে । 

একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূরবী ধর বলেন,‘মোবাইলফোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করলে ঠিক আছে।কিন্তু বেশিরভাগ সময় বাচ্চারা মোবাইলফোনে অনলাইন ব্যবহার করছে নেশার মতো।তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে,মোবাইল ফোনের এই অনলাইন আসক্তির কারণে ইদানিং শিশুদের আচরণগত সমস্যাও দিনদিন প্রকট হচ্ছে। তাই, বাবা-মার উচিত বাচ্চাদের সময় দেওয়া, কাউন্সেলিং করা। তাদের সঙ্গে ভালো-খারাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা।’

মৌলভীবাজার শহরের পরিবেশ ও সাংস্কৃতিককর্মী  রুপালি আক্তার বলেন, ‘অনেকক্ষণ মোবাইলফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে ভার্চুয়াল-সম্পর্ক বা বন্ধু তৈরিতে যতটা মনোযোগ দিচ্ছে শিশুরা, তার সিকিভাগও নেই বাস্তব বন্ধুত্বে। অনলাইন গেমিংয়ে ভয়ানক আসক্ত হয়ে পড়ায় পড়াশোনার সময় চলে যাচ্ছে মোবাইল স্ক্রিনে৷ বাচ্চাদের সামাজিকীকরণে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। তারা বেড়ে উঠছে অসহিষ্ণু হয়ে। না আছে বন্ধু, না হচ্ছে পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়ছে শিশুরা।’

এ বিষয়ে সাংবাদিক,সিনিয়র আইনজীবী ও মৌলভীবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রাধাপদ দেব সজল বলেন, ‘করোনা আমাদের জীবনটাকেই পাল্টে দিয়েছে। একসময় আমরা মোবাইলফোন, ডিভাইস, নেট থেকে শিশুদের দূরে রাখতে পারলেও এখন তাদের শিক্ষার স্বার্থেই ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইলফোন, ট্যাব তুলে দিয়েছি। আর এই সুযোগে তারা আসক্ত হয়ে পড়েছে। বাস্তবতার কারণে তাদের হাত থেকে ডিভাইসগুলো কেড়ে নিতে পারবো না। তাই মানসিকভাবে ওদের সঙ্গ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তারা কোনো রিস্কি গেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে কি না।  পাশাপাশি,বাবা-মায়েদেরও সন্তানের ভালো শেয়ারিং-কেয়ারিং বন্ধু হতে হবে।’

শ্রীমঙ্গল শহরের নারী উদ্যোক্তা এবং পরিবেশকর্মী মিতালি দাশ বলেন,‘করোনায় দীর্ঘ সময় বাচ্চারা স্কুলে বা বাইরে যেতে না পারার কারণে গেমসে বেশি আসক্ত হয়ে গেছে। বেশি গেমসপ্রীতি থেকে তাদের ফেরাতে আনন্দদায়ক পড়াশোনার উপায় বের করতে হবে। তাহলে তারা গেমস, কার্টুনে সময় কমাবে,পড়াশোনায় মন দেবে।’ এই আসক্তি কমাতে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা এবং তাদের বেড়ানোর জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভ্যাসটা বাবা মা'কেই তৈরী করতে হবে তবেই ধীরে ধীরে এই আসক্তি কমবে বলেও মনে করেন তিনি। 

শান্ত ইসলাম নামে এক অভিভাবক তার ১৯ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে উৎকণ্ঠার কথা জানালেন। তিনি বলেন, আমার সন্তান ভয়ানকভাবে গেমে আসক্ত। অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল ডিভাইসে গেম খেলে। সম্প্রতি অনেক রাতে সে গেমে থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকটা রেগে তাকে ঘুমাতে যেতে বলি। তখন সে বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ার হুমকি দেয়। নিজের ছেলের এমন আচরণে তিনি ভীষণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।’

ছেলে-মেয়েদের ভয়ঙ্কর এই গেম খেলা নিয়ে শান্ত ইসলাম বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেসহ অনেকে শিশুরাই এই রকম গেমের নিমগ্ন থাকে। ওরা যখন এই জগতে থাকে, সেখানে ভার্চুয়ালি একটা অ্যাকাউন্ট করে অনেক অস্ত্র এবং যুদ্ধের পোশাক কেনে। এসব গেমেরে মধ্যেই সেটাপ করা থাকে। ছোট ছেলে-মেয়েরা কেবল নয় বড়রাও এসব গেমসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এটা এমন মারাত্মক নেশা। যে একবার ঢোকে, সে আর বের হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে সরকারিভাবে এসব গেমের অ্যাপ ও গেটওয়ে সব বন্ধ করে দিতে হবে।’

মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের বেশিরভাগ সময় মোবাইলফোনে অনলাইন গেম নিয়ে থাকার কারণে তাদের বাবা-মা ভাই বোন অর্থাৎ পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে ডাকলেও তারা বিরক্তবোধ করে। করোনার সময় তাদের পড়াশোনা, কোচিং সব অনলাইনেই সারতে হচ্ছে বলে বাবা-মাকেও খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চারা পড়াশোনার বিষয়ে অনলাইন থাকছে, না গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বকাঝকা করে নয়, তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে বোঝাতে হবে। সন্তানদের বিভিন্ন সামাজিক কাজ, খেলাধুলা বা বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

সিলেট বিভাগের সাবেক পরিচালক সাস্থ্য  ডা.হরিপদ রায় বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য মোবাইল বা অন লাইন অনেক চটকদার দুনিয়া। ওটা থেকে বের হয়ে নরমাল লাইফ আর ভালো লাগে না। এছাড়া, গেম অনেক ফাস্ট। নরমাল লাইফ অনেক স্লো। ফলে ওরা অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। বেশি ডিভাইস ব্যবহারে অনেকের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন শ্রীমঙ্গলে এমন একটি নামিদামি প্রতিষ্ঠান nciit(এনসিআইআইটি) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জয় ধর বেশ উৎকণ্ঠা নিয়ে বলেন, ‘পাবজির মতো কিছু গেম আছে, যার একটা লেভেল পর্যন্ত ফ্রি খেলা যায়। সে গেম এমন পর্যায়ে এসে শেষ হয়, পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য ক্রেডিট নিয়ে খেলতে হয়।  ছেলে-মেয়েরা অনলাইনে ক্যাশ বা বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ডের নম্বর দিয়ে প্রয়োজনীয় পয়েন্ট কিনে নেয়। পয়েন্ট কিনে তারা গেমের বড় বড় ধাপ পার হয়। কিছু গেম খেলতে গেলে তাদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। গেমের মাধ্যমে সে ধাপগুলো পার হতে হয় । এটা ভয়ানক এক ধরনের নেশা। আর এই নেশাকে কেন্দ্র করে বিরাট একটা চক্রও কাজ করছে।’ 

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন ,‘এই প্রযুক্তিতে বিশ্বময় চলছে। তবে, আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ছেলে-মেয়েরা বেশি আসক্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে বিটিআরসিকে দিয়ে এসব অ্যাপের গেটওয়ে বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে । তবে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটা বাবা-মায়েরা সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। তাদের হাতে নতুন ডিভাইস দেওয়ার আগে কিছু কিছু শর্ত দিয়ে দিতে হবে। সন্তান বেশিক্ষণ যেন ডিভাইসে না থাকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’

প্রযুক্তি এক্সপার্ট KB খান বিজয় বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। ছোট-বড় সবাই ডিভাইসে কাজ করছে। এটাকে অস্বীকার করা যাবে না। তবে যে বা যারা এর বেশি ব্যবহার করছে, তাদের সচেতন করতে এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে বাবা-মা বা পরিবারের বড়দের কাউন্সেলিং করতে হবে।’ যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ বিষয় নিয়ে শিক্ষাথীদের কাউন্সেলিং করেন,এবং ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন তবে ভালো একটি ফলাফল আসবে বলে অমি বিশ্বাস করি ।’

বিজয় আরো বলেন,এ আসক্তি থেকে শিশু কিশোরদের বের করে আনতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাবা-মা কর্তৃক কাউন্সেলিং এর কোনো বিকল্প নেই।’ পরিবার থেকে এ বিষয়ে ভালো-মন্দ দিকগুলো শিশু কিশোরদের বুঝিয়ে বলারও পরামর্শ দেন তিনি। 

Bootstrap Image Preview