হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার। কোনো ভারতীয় দর্শককে কাতারে ঢুকতে দেয়া হবে না।
এদিকে কমল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির টুইট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই টুইট প্রকাশ্যে আসার পরেই আশঙ্কিত এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। টুইটে কমল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “আমার এক বন্ধুর কাছে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট আছে। সেই সময়ে কাতারে থাকার জন্য আবেদন করেছিল সে। কিন্তু কাতারের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তাকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতীয়দের কাতারে আসতে দেওয়া হবে কিনা সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। তাই এখনই কাতারে আসার অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।” সঙ্গে একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের বুকিং নেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।”
বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি টুইটে লিখেছেন, “আরব দুনিয়ায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতের। মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে বিজেপির মুখপাত্ররা এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে। এবার ফল ভুগতে হবে।”
এদিকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কলকাতার হাওড়ার ডোমজুরসহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ হয়েছে। ইমাম অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন এই অবরোধ ডাকেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবরোধ তোলার দাবি করে ডোমজুরের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষকে দফায় দফায় অনুরোধ জানান।
দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ ও অবরোধের নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বাংলায় হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনো সংঘাত নেই। দিল্লির ঘটনা নিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষকে কেন ভোগাচ্ছেন? আমি চাইলেই তুলে দিতে পারি, কিন্তু ঝামেলা চাই না। বিজেপির প্রতিবাদ প্রতিবাদ করতে চাইলে ট্রেনে করে দিল্লি গিয়ে প্রতিবাদ করুন। মোদির পদত্যাগ চান।
এদিকে দিল্লি পুলিশ নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালের পাশাপাশি এজাহার দায়ের করেছে এআইএমআইএমের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির নামেও। হেডস্পিচ ছড়ানোর দায়েই এই এজাহার হয়েছে বলে জানা গেছে।