যুগে যুগে নানাভাবে সভ্যতা হারিয়ে যায়। কখনো বন্যায়, কখনোবা কালের গহ্ববরে। ইতিহাস খুললে হয়তো এসব সভ্যতার কথা জানা হয়, নতুবা কেউ হয়তো মনেও রাখে না। তবে এবার এমনই এক পুরনো সভ্যতা নদী থেকে ভেসে উঠেছে। প্রায় ৩০ বছর আগে একটি স্পেনীয় জনপদ এ ভাবেই তলিয়ে গিয়েছিল নদীগর্ভে।
এটি প্রকাশ্যে এসেছে। পানি শুকিয়ে যেতেই জনসমক্ষে এসেছে জনপদের অতীত চিহ্ন। কিন্তু এটা কোনো খবর নয়। আর সদ্য ভেসে ওঠা গ্রামটি একটি ভুতুড়ে গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর তা নিয়েই ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
ভৌগলিকভাবে জায়গাটি স্পেন ও পর্তুগালের সীমান্তে। গ্রামটির নাম অ্যাসেরেডো। স্থানীয় এলাকায় খরার কারণে একটি রিজার্ভয়র পানিশূন্য করে ফেলতে হয়েছিল। একটি বড় বাঁধের অংশ ছিল এটি। বন্যায় এ জনপদটি প্লাবিত হয়েছিল। তবে নদী হিসেবে বলতে হলে বলতে হবে লিমিয়া নদীর তলা থেকে উঠে এসেছে এটি। ১৯৯২ সালে প্লাবনে ঘটেছিল। লিমিয়া রিভারবেডে বাঁধ ও জলাধার বানাতে গিয়ে এ গ্রামটিকে নষ্ট করা হয়েছিল।
তবে এ এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গ্রামটি যেখানে ছিল সেখানে মূলত তৈরি করা হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু একদিন নদীর জল বাঁধে উপচে উঠলে বাধ্য হয়ে জল ছেড়ে দিতে হয়। আর তখনই এই ঘটনা ঘটে।
পানি অবশ্য একদিন কমে গিয়েছিল। কিন্তু তখন গ্রামটির একটা ধ্বংসাবশেষ যেন চোখে পড়ছিল। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শুধু যে ওই গ্রামটিরই ক্ষতি হয়েছিল, তা নয়, এর আশপাশের এলাকাও বিনষ্ট হয়েছিল। এখানে বৃষ্টি নেই, খরার ক্লিষ্টতার চিহ্ন। সব মিলিয়ে পরিবেশটা আক্ষরিক অর্থেই যেন ভুতুড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেই বিপুল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আজও দাঁড়িয়ে আছে পানীয় জলের একটি উৎস।