Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি মহানবীর অঙ্গীকারনামা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:১৪ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:১৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ মিসরের সিনাই উপত্যকার পাদদেশে অবস্থিত সেন্ট ক্যাথরিন গির্জা। ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জার একজন প্রতিনিধি মহানবী (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেন। মহানবী (সা.) ওই প্রতিনিধিকে তার সম্প্রদায়ের বিশেষাধিকারের সংবলিত একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।

বেশ পুরনো হওয়ায় এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান। সেন্ট ক্যাথরিন গির্জায় প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ধরে রক্ষিত আছে বহু প্রাচীন দলিল ও নথিপত্র। ধারণা করা হয়, ভ্যাটিকানের পর সেন্ট ক্যাথরিন প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই আছে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লেখা সন্ন্যাসীদের উদ্দেশে লেখা মহানবী (সা.) এর একটি চিঠির অনুলিপি।

ঐতিহাসিক ওই অঙ্গীকারনামায় মহানবী (সা.) খ্রিস্টানদের বিশেষাধিকারের সনদ প্রদান করেছেন এবং মুসলিম সমাজে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। ঐতিহাসিক সেই অঙ্গীকারনামার অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো-

‘এটি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা তাদের প্রতি, যারা চুক্তির অংশ হিসেবে খ্রিস্টবাদ ধারণ করে; তারা কাছের হোক বা দূরের আমরা তাদের সঙ্গে আছি। প্রকৃতপক্ষে আমি, দাসরা, সাহায্যকারী ও আমার অনুসারীরা তাদের রক্ষা করবে। কেননা খ্রিস্টানরা আমার নাগরিক। আল্লাহর কসম! আমি এমন সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, যা তারা অপছন্দ করে। তাদের ওপর বিশেষ কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। তাদের বিচারকদের চাকরিচ্যুত করা হবে না এবং তাদের সন্ন্যাসীদের গির্জাগুলো থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। কেউ তাদের ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করবে না, ক্ষতিগ্রস্ত করবে না অথবা মুসলিমদের জন্য তা থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে আনবে না। কেউ এমনটি করলে সে আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করল এবং তার নবীর অবাধ্য হলো। নিশ্চয়ই তারা আমার মিত্র এবং তারা যেসব বিষয় ঘৃণা করে আমি তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সনদ দিচ্ছি। কেউ তাদের ভ্রমণে বা যুদ্ধে অংশগ্রহণে বাধ্য করবে না; বরং মুসলিমরা তাদের জন্য যুদ্ধ করবে। কোনো খ্রিস্টান নারীর অনুমতি ছাড়া কোনো মুসলিম তাকে বিয়ে করতে পারবে না। (বিয়ের পর) প্রার্থনার জন্য তাকে চার্চে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। খ্রিস্টানদের চার্চের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। কেউ চার্চ সংস্কার বা তার পবিত্রতা রক্ষায় বাধা দেবে না। কোনো মুসলিম কিয়ামত পর্যন্ত এই অঙ্গীকারনামার অবাধ্য হবে না।’ সূত্র: খালিজ টাইমস

Bootstrap Image Preview