বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানী।
শনিবার এক শোকবার্তায় মাহমুদ মাদানী বলেন, আল্লামা শফীর হৃদয়বিদারক ইন্তেকালের সংবাদ আমাকে বিমর্ষিত ও আহত করেছে। তিনি হজরত শায়খুল ইসলাম মাদানীর (রহ.) যোগ্য শাগরেদ, খলিফা, মুজায ও আমাদের সবার প্রিয় ছিলেন। মাদানী পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক, হৃদ্যতা ও ভালোবাসা ছিল পঞ্চাশ বছরেরও অধিক সময়ের।
আল্লামা শফীর স্মৃতিচারণা করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাধে মরহুম বাংলাদেশের রাজনীতি, শিক্ষা ও সমাজ গঠনে যোগ্য নেতৃত্বের আসন অলংকৃত করেছেন। বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে কখনো তিনি তার আদর্শ ও মিশন থেকে পশ্চাদপসরণ করেননি।
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও তিনি মসনদে হাদিসে বোখারি শরীফের দরস দিয়েছেন।
আল্লামা শফীর মাগফিরাত কামনায় শনিবার বিকালে দিল্লির জমিয়ত অফিসে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সংগঠনটির সেক্রেটারি মাওলানা হাকিমুদ্দীন কাসেমী জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাওলানা মাহমুদ মাদানী ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রাণপুরুষ সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানীর দৌহিত্র ও সাইয়্যেদ আসআদ মাদানীর ছেলে। আল্লামা শফী যার ছাত্র ও খলিফা ছিলেন।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরোনো প্লাটফর্ম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে এ সংগঠনটির জন্ম। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দলটির ব্যাপক অবদান রয়েছে।
এদিকে হেফাজত আমীর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রীলংকার অন্যতম আলেম ও জমিয়ত প্রধান মুফতি রিজভী।
সৌদি ভিত্তিক প্রবাসী রোহিঙ্গা আলেমদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রোহিঙ্গা ওলামা কাউন্সিলও শোক জানিয়েছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল হাই ফযল ও পরিচালক নূরুল ইসলাম সায়ীদী এক শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী ভাবমূর্তি রক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা উন্নয়নের জন্য আমরা শরনার্থী রোহিঙ্গা জাতি তাকে আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবো। বিশেষত রোহিঙ্গা জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের আশ্রয় ও সাহায্যের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন। তাঁর এই অবদানকে আমরা কখনোই ভুলবোনা।
বাংলাদেশের কোটি মানুষের সঙ্গে আমরা এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠিটিও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।