বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ড্রাফটে নাম লেখানোর প্রথম শর্ত ছিল– বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এতে উতরাতে না পেরে নিলাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন কয়েকজন ক্রিকেটার।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে কয়েকজনকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তারা হলেন– ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমার। গেল জাতীয় লিগের দারুণ পারফরম্যান্স দেখে তাদের খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তন্মধ্যে অন্যতম হলেন স্পিন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন তিনি। ছিলেন দুর্দান্ত ফিল্ডার-ব্যাটসম্যান। মিডলঅর্ডারে ঝুঁকি নিয়ে সিঙ্গেলসকে ডাবল বানাতে পটু ছিলেন এ ফিনিশার। ড্রাইভ দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচাতে এবং উড়ে ক্যাচ ধরতে সহজাত দক্ষতা ছিল তার।
সেই নাসির এখন বিপ টেস্টে পাস করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভাগ্যিস ছাড় পেয়েছেন! তাই এ যাত্রায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা হচ্ছে তার। ছাড়ে তাকে দলে ভিড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল।
অবশ্য খেলার সুযোগ পেতে বিপ টেস্টে ‘১১’ তুলতেই হতো নাসিরকে। এটি হচ্ছে ফিটনেসের এ পরীক্ষায় পাস নম্বর। সেখানে তিনি পেয়েছেন ১০। যে কারণে দল পেলেও বিসিএলের প্রথম রাউন্ড খেলার ছাড়পত্র পাচ্ছেন না ফিনিশিং অলরাউন্ডার। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খেলতে হলে নাসিরকে বিপ টেস্টে ওই ১১ নম্বর পেতেই হবে।
গেল জাতীয় লিগে বিশেষ বিবেচনায় খেলেন নাসির। সেবারও বিপ টেস্টে পাস করতে পারেননি তিনি। কিন্তু বিসিএলে সেই সুযোগ নেই। স্বভাবতই প্রথম শ্রেণির এ ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় পর্বে খেলতে রোবটের মতো চেষ্টা করবেন ২৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার।