পাকিস্তান সফর নিয়ে একের পর এক নাটকের জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের বক্তব্য ছিল একটাই, গেলে আমরা যাবো শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতেই। পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলার প্রশ্নই আসে না।
শেষ পর্যন্ত নিজেদের কথার ওপর মোটেও দৃঢ় থাকতে পারলো না বিসিবি। আইসিসিতে পিসিবির সঙ্গে এক বৈঠকে পাকিস্তান সফরে শুধু রাজীই হয়নি, সঙ্গে একটি বাড়তি ওয়ানডে খেলারও ঘোষণা দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তাও, একবার নয় তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে আসবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তিনবার সফর করার কারণ হিসেবে বিসিবির যুক্তি, নিরাপত্তার শঙ্কা। নিরাপত্তার শঙ্কা মাথায় রেখেই তিনবারে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে নিরাপত্তা শঙ্কা মাথায় রেখে পাকিস্তান সফর থেকে বিরত রয়েছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীম। যদিও তার ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফর করে এসেছে।
২২ তারিখ রাতে গিয়ে ২৭ তারিখ রাতে লাহোর থেকে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দল। এরপর আজ বিকেলে ধানমন্ডিস্থ বেক্সিমকোয় নিজের অফিসে মিডিয়ার মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে তিনি কথা বলেন পাকিস্তান সফরের নানা বিষয় নিয়ে।
প্রসঙ্গতঃ ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যান বিসিবি সভাপতিও। তাদের সঙ্গেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। অবধারিতভাবেই বিসিবি বিগ বসের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলো পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার কাছে জানতে চাওয়া হলো, সূচি অনুসারে কি বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাবে?
পাকিস্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি জানাতে গিয়ে বিসিবিসভাপতি যারপরনাই প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের। তিনি সরাসরিই বলে দিলেন, ‘এরচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট এবং নিরাপত্তা নিয়ে কোনোরকমের কোনো দুশ্চিন্তা বা অভিযোগ নেই।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থা যখন এতটাই ভালো, তাহলে তো টেস্ট খেলতে যেতে কোনো সমস্যা নেই। বিসিবি সভাপতিও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘টেস্ট খেলতে না যাওয়ার কোনো কারণ নাই। কারণ এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ওয়াকওভার দেওয়ার কোনো মানে নাই। আমার মনে হয় আমরা টেস্ট খেলতে যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গতঃ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্ট। এ লক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার কথা। এবার আর ভাড়া করা বিশেষ বিমানে পাকিস্তান যাবে না টাইগাররা। এবার যাবে সাধারণ ফ্লাইটে।
কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে ৪ ফেব্রুয়ারি রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। এরপর দোহা হয়ে ১২ ঘণ্টার সফর শেষে পরেরদিন সকাল ৮টায় ইসলামাবাদ পৌঁছাবে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে আরও ৩০ মিনিটের বিমান ভ্রমণ শেষে রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।