Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯৫ কোটি মানুষের চারগুন বেশি সম্পদ মাত্র ৬৩ ধনীর হাতে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:১৩ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:১৩ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের ৯৫ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ অর্থাৎ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের সম্পত্তির চার গুণ বেশি সম্পদের অধিকারী দেশটির এক শতাংশ ধনী। ভারতের এমন ভয়াবহ আর্থিক বৈষম্যের কথা জানিয়েছে ‘অক্সফ্যাম’। বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র দূরীকরণ ও অধিকার রক্ষার্থে দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

‘টাইম টু কেয়ার’ নামে অক্সফ্যাম এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মোট ২৪,৪২,২০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বাজেটের থেকেও বেশি সম্পত্তি রয়েছে মুকেশ আম্বানি, আজিম প্রেমজি ও সুনীল মিত্তলদের মতো দেশের ৬৩ জন ধনকুবেরের হাতে। ভারত তো বটেই, গোটা বিশ্বেই এই আর্থিক বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। অক্সফ্যাম জানিয়েছে, বিশ্বের ৪৬০ কোটি বা ৬০ শতাংশ মানুষের কাছে যা সম্পত্তি রয়েছে, তার থেকেও বেশি সম্পদ রয়েছে ২ হাজার ১৫৩ জন ধনকুবেরের কাছে।

সোমবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ৫০তম বার্ষিক সম্মেলন। তার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অক্সফ্যাম। এই সংগঠনের মতে, শুধু ভারতেই যে এ ধরনের আর্থিক বৈষম্য রয়েছে, তা নয়। বরং গোটা বিশ্বেই ছবিটা গড়পড়তায় একই রকমের। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আয়ের নিরিখে লিঙ্গবৈষম্যও।

সেটা কী রকম? রিপোর্ট বলছে, পরিচারিকার কাজ করা এক জন নারী ২২ হাজার ২৭৭ বছরে যা আয় করবেন, তা মাত্র ১ বছরেই রোজগার করেন টেকনোলজি সংস্থার একজন সিইও। মাত্র ১০ মিনিটে ওই সিইও যা আয় করেন, সেই অর্থ নিজের ঘরে আনতে ওই পরিচারিকার লাগবে গোটা বছর। শুধু তা-ই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের গার্হস্থ্য কাজের বদলে কোনও আয় হয় না।

দেখা গেছে, গোটা বিশ্বে নারীরা ৩২৬ কোটি ঘণ্টার এমন কাজ করছেন প্রতি দিন, যার বদলে তাদের কোনও আয় হচ্ছে না। অর্থের নিরিখে ভারতীয় অর্থনীতিতে যার পরিমাণ প্রতি বছরে ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা গত শিক্ষা বাজেটের কুড়ি গুণ বেশি (৯৩ কোটি টাকা)।

বিশ্ব জুড়েই ধনী-দরিদ্রের এই ফারাকটা আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে গত এক দশকে। ওই সময়ের মধ্যে ধনকুবেরের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তবে তাতে লাভবান হয়েছেন মুষ্ঠিমেয় মানুষ। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহরের মতে, এই ফারাক ঘোচাতে সঠিক সরকারি নীতির প্রয়োজন। তার কথায়, ‘বৈষম্য দূরীকরণে সেই লক্ষ্যেই নীতি থাকা প্রয়োজন, যাতে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমানো যায়। এবং খুব কম সরকারই সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’

অমিতাভের মতে, সমাজের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো থেকে নারীরাই সবচেয়ে কম লাভবান হন। কারণটাও জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা আফ্রিকার নারীদের সম্মিলিত ধনসম্পদের থেকে বিশ্বের মাত্র ২২ জন ধনীর সম্পত্তির পরিমাণ বেশি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Bootstrap Image Preview