মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
রবিবার বন্দরনগরী করাচিতে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে শিয়াসংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের প্রভাব বিস্তারের মূল স্থপতি বলা হয় প্রভাবশালী আল-কুদস ফোর্সের এই প্রধানকে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও সোলাইমানির ছবি নিয়ে নারী-শিশুসহ কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
এসময় তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরাইল নিপাতক’ বলে স্লোগান দেন। শিয়া মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন।
তারা বিক্ষোভ নিয়ে মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে যেতে চাইলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তা বন্ধ করে দেন। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে যেতে পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ক্ষণিকের উত্তেজনার পর প্রতিবাদ স্থগিত করা হয়েছে। র্যালিতে এক জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা শাহানশাহ নকভী বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
রাজধানী ইসলামাবাদেও ছোট্ট একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রতিবাদকারীরা আমেরিকা ও ইসরাইলের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
সব ধরনের বিতর্কের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।