ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপি।এই সংশোধনীকে আরও সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘ভারতের যে চরিত্র একটা অসাম্প্রদায়িক বা একটা সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ)- সেই ভাবমূর্তি আর রক্ষা হচ্ছে না।’মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো মনে করছেন, অমিত শাহ এর বক্তব্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণা ছড়াবে।
ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ তার বক্তব্যে বলেছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন।এমন বক্তব্যের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপি এবং জামায়াতের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ তুলেছেন যে,এই দু'টি দলের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অনেক বেশি হয়েছে।এই বক্তব্য বিএনপি মেনে নিতে রাজি নয়। সেজন্য দলটি কড়া ভাষায় তাদের বক্তব্য দিয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেছেন, ‘এই বক্তব্যের মধ্যে মারাত্মক রকমের সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার বিষয় জড়িত রয়েছে। এছাড়া ভারতের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এইভাবে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সরাসরি চিহ্নিত করা বা আঙ্গুল দেখানো, সেটা কিভাবে শোভনীয় হয়-তা আমার জানা নাই।’
‘আমি মনে করি, পার্লামেন্টে তার এই বক্তব্য একেবারে সঠিক নয়। আমাদের সরকারের সময়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত আমরা এড়িয়ে চলেছি। এরকম ঘটেইনি বলা যায়।এরপরও কোন ঘটনা ঘটে থাকলে, সেটা সাম্প্রদায়িক নয়, সেটা রাজনৈতিক, দলের মধ্যে দলের সমস্যার কারণে হতে পারে।’
মির্জা আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পরে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করাসহ যে ধরণের আক্রমণ হয়েছে, সে ব্যাপারে অমিত শাহ কিছু বলেননি।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারতের দায়িত্বশীলরা এমন মন্তব্য করলে সেটা পক্ষপাতদুষ্ট এবং তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’বিএনপি মহাসচিব বিজেপির আমল নিয়ে অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষায়। একইসাথে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেরও নিন্দা জানিয়েছেন।
মির্জা আলমগীর বলেছেন, এই সংশোধনী আরও সাম্প্রদায়িক। ভারতের যে চরিত্র একটা অসাম্প্রদায়িক বা একটা সেক্যুলার- সেই ভাবমূর্তি আর রক্ষা হচ্ছে না। এতে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে আমাদের নাগরিকে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।