Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পড়া না পারায় ছোট্ট শিশুকে ক্লাসরুমের মেঝে চাটালেন শিক্ষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:০২ PM
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:০২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের পড়া ধরেছিলেন শিক্ষক। উত্তর দিতে পারেনি ছোট্ট শিশুটি। তাতে রেগে গিয়ে সাত বছরের ছেলেটিকে ক্লাসরুমের মেঝে চাটতে বাধ্য করলেন শিক্ষক। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা স্কুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

সোমবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পূর্বপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের জেরে অভিযুক্ত শিক্ষক ভুল স্বীকার করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পূর্বপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দিন স্কুল বসার পর থেকেই অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা শিক্ষকদের আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শিক্ষক সৌমিত্র রায় গত শনিবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র গোপাল হালদার (নাম পরিবর্তিত) পড়া বলতে না পারায় শাস্তি হিসাবে তাকে দিয়ে ক্লাসরুমের মেঝে চাটান। ছাত্রটি বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি বলে। বাচ্চার পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পারেন বাকি অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। সোমবার তাই স্কুল খুলতেই অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরও অনেক ছাত্রকেই এর আগে স্কুলে মেঝে চাটিয়েছেন ওই শিক্ষক। কিন্তু বিষয়টি কেউ বাড়িতে না বলায় তা জানাজানি হয়নি। এখন বাকিরা বলাতে সবাই জানতে পারেন। নোংরা মেঝে চেটে অনেকেরই নাকি পেট ছেড়েছে।

এ দিন গোপাল হালদার বলে, 'স্কুলে নামতা পারিনি বলে মাস্টারমশাই আর সকলের মত আমাকেও ভয় দেখিয়ে ক্লাসঘরের মেঝে চাটান। কান ধরে উচুঁ করে তোলেন।' বিক্ষোভকারী অবভিভাবক সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, 'পড়া না পারলে শিক্ষকরা বকাবকি করেন এতদিন তাই জেনে এসেছি। কিন্তু শিশুদের দিয়ে মেঝে চাটান হচ্ছে? এই ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চাই।' অনেক পড়ুয়াই এখন ভয়ে স্কুলে আসতে চাইছে না।

অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমিত্র রায় বলেন, ছাত্ররা যাতে পড়াশোনা করে, সে জন্যই এ ধরনের শাস্তি দিতাম। এই শাস্তি দেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। ছাত্রদের আর কখনও এমন শাস্তি দেব না।

Bootstrap Image Preview