পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলো ভারত। পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করে থাকে। এগুলি স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত করতে পারে এই মিসাইল। এছাড়া ভারত ও ইসরায়েল যৌথ উদ্যোগে একটি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যা দুই দেশের নৌবাহিনী ব্যবহার করবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই ভারত ও ইসরায়েলের এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। এখন ভারত এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করলে পাকিস্তানের বিপদ আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বালাকোটে আকাশপথে সারজিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পরই ভারতীয় সেনা জরুরি ব্যবস্থায় এই স্পাইক মিসাইল নিজেদের ভান্ডারে মজুত রেখেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, ‘এই স্পাইক মিসাইলগুলি নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলেও ব্যবহার করা হবে, যাতে এগুলি দিয়ে লুকিয়ে থাকা বাঙ্কারগুলিকেও খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।’
ভারত প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনে। আর সামরিক অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরায়েল তাদের প্রধান ভরসা। গত বছরের এপ্রিলে ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে ২০০ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, লঞ্চার ও কমিউনিকেশন টেকনোলজি। ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ভারত ইসরায়েলের সঙ্গে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে বলেও জানা গেছে।
সূত্রটি আরো জানায়, পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতেই ইসরায়েল থেকে জরুরি প্রয়োজনে ২৪০টি স্পাইক মিসাইল এনেছে ভারতীয় সেনারা। স্পাইক মিসাইল মূলত অ্যান্টি ট্যাঙ্ক অপারেশনে ব্যবহার হলেও এই শক্তিশালী মিসাইল জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার জন্য তৈরি বাঙ্কার ধ্বংস করতে পুরোপুরি সক্ষম বলেই জানা গেছে।
এক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জঙ্গি ঘাঁটি এবং লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা যেখানে ছ’জন জঙ্গি মারা যায়। এখন ভারত পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরেও এই স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অপারেশন চালবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
জানা যায়, পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের জের ধরে বালাকোটে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটি ভাঙার পরই পাকিস্তানে এই স্পাইক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।