আসামের জাতিয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অনেক বিতর্কে পরতে হয় ভারতের বিজেপি সরকারকে। একদিকে যেখানে সারা দেশে এনআরসি চালু করতে চাইছে বিজেপি অন্যদিকে আসামের বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
২০২১ সালে জাতিয় নাগরিক পরিসংখ্যান নবায়ন করার পরই কেবল দেশব্যাপি এনআরসি তালিকা করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা এবং পুনরায় সারাদেশব্যাপি নতুন নাগরিক তালিকা করা হবে এবং সেখানে ধর্মের ভিক্তিতে কোন বৈষম্য করা হবে না বলে রাজ্যসভায় আশ্বস্ত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এনআরসিতে বেশির ভাগ হিন্দুদের নাম বাদ পড়ায় ভোট ব্যাংকে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিল আসাম বিজেপি। এতে চাপ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আসামে নতুন করে এনআরসি হবে বলে জানায় অমিত। এছাড়া ও ১৬শ কোটি টাকা ব্যয় করে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে আসামে হওয়া এনআরসিরর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন ১৯ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ লাখই হিন্দু। তালিকা প্রকাশ প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপক বিতর্কের ফলে অস্বস্থিতে পড়ে শাসক দল বিজেপি।
১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ আসাম চুক্তি অনুযায়ী,এনআরসি তৈরির ভিত্তিবর্ষ বলে ধরা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের সব রাজ্যে যখন এনআরসির কাজ শুরু হবে তখন অতীতের একটি নির্দিষ্ট দিনকে ধরে তার ভিত্তিতে ওই কাজ শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
অপরদিকে বিরোধীদের মতে, এনআরসিতে হিন্দুরা বাদ যাচ্ছেন বলে যে প্রচার শুরু হয়েছে তা আটকাতেই ১৬শ কোটি টাকা জলাঞ্জলি দিতে চান মোদি-অমিত শাহ।
১৬শ কোটি টাকা খরচ হল, কোটি কোটি মানুষকে হয়রানি করা হলো, কতো মানুষ আত্মঘাতী হলেন এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে? বহ্মপুত্র উপত্যকা নাগরিক সমাজের উপদেষ্টা হাফিজ রশিদ চৌধুরীর মতে, রাজনৈতিক দলের একাংশ চেয়েছিল বেশি করে মুসলিমের নাম বাদ পড়ুক। উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়াতেই হয়তো এনআরসি বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে।